—প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির পরে দেশবাসীর মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে বলে উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। এই নিয়ে বিরোধীরা সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছে। কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, দেশ সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি ফিরেছে অতিমারির আগের জায়গায়। প্রযুক্তি সংস্থা ম্যাপমাইইন্ডিয়ার অধীনে থাকা ডেটা অ্যানালিটিক্স সংস্থা ক্ল্যারিটিএক্স-এর সমীক্ষায় অবশ্য দাবি এর উল্টো। বলা হয়েছে, ভারতে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি উপার্জনকারী পরিবারগুলির অধিকাংশ বসবাস করে আর্থিক-সহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে এগিয়ে থাকা ২০% জেলায়।
আজ ক্ল্যারিটিএক্স-এর ‘ডিস্ট্রিক্ট পোটেনশিয়াল ইন্ডেক্স ২০২৪’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তা তৈরি হয়েছে ম্যাপমাইইন্ডিয়ার তথ্য ভান্ডার এবং সরকারি পরিসংখ্যানের উপরে ভিত্তি করে। সেখানে দাবি, ‘‘বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা তা তার বেশি উপার্জনকারী পরিবারগুলির ৬০% বসবাস করে এগিয়ে থাকা ২০% (প্রায় ১৫০টি) জেলায়। সারা দেশে আয়ের গড়ের ঊর্ধ্বে থাকা জেলাগুলির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই রয়েছে পশ্চিম ভারতে। দ্রুততম বৃদ্ধির জেলাগুলির মধ্যেও অধিকাংশ রয়েছে এই অঞ্চলে।’’ এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের বক্তব্য, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সুষম বণ্টন যে হচ্ছে না এবং তার বড় অংশ হাতে গোনা কিছু জায়গায় জমা হচ্ছে, তা এই রিপোর্টে স্পষ্ট। মোদী সরকার যতই আয় বৃদ্ধির দাবি করুক, লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ (প্রায় ৮১.৩৫ কোটি) মানুষকে আরও পাঁচ বছর নিখরচায় রেশনের কথা ঘোষণা করেছে তারাই। বৈষম্যের বাস্তব অবস্থা তাদের পরিকল্পনাতেই পরিষ্কার।
আয়ের বণ্টন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, মাথাপিছু শিক্ষার সুবিধা, পরিকাঠামো, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা-সহ আর্থিক কর্মকাণ্ডের মতো বিষয়গুলিকে মাপমাঠি ধরে জেলার উন্নয়ন বা বৃদ্ধির হিসাব কষা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে দেশের ৩৬টি রাজ্যে ৭২৩টি জেলা ছিল। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৮৮। জেলাগুলির মধ্যে তুলনা টানার ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয়কেই ধর্তব্যে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরু শহর এবং হায়দরাবাদ। রাজ্যগুলির বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মধ্য এবং পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে এগিয়ে ঝাড়খণ্ড এবং ত্রিপুরা। দেশে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy