—প্রতীকী চিত্র।
গত জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে ১৬,২৫১ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছিল। এপ্রিলে তা নেমেছে ১৯৩ কোটিতে।
প্রতি মাসে কোন রাজ্যে কতটা লগ্নির প্রস্তাব এল, সেই তথ্য দেয় বাণিজ্য মন্ত্রক। তাতেই দেখা গিয়েছে, জানুয়ারির পরে মাত্র তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে প্রস্তাব কমেছে ৯৮.৮১%। তবে বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের শিল্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান দেবেন্দ্র গয়াল বলেন, “লগ্নির প্রস্তাব এ ভাবে কম-বেশি বলা যায় না। এটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। বছর শেষে সার্বিক ছবিটা স্পষ্ট হবে।”
জানুয়ারি এবং এপ্রিল, দু’মাসেই মোট তিনটি করে লগ্নি-প্রস্তাব পেয়েছে রাজ্য। জানুয়ারিতে এসেছে ক্যাপ্টেন স্টিলের ইস্পাত প্রকল্প, ইন্ডিয়ান অয়েলের সালফার উৎপাদন এবং অ্যালুমিনিয়াম কারখানার প্রস্তাব। কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ৪৮৯১ জনের। এপ্রিলে এপিজে সুরেন্দ্র গোষ্ঠীর খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি ছাতা কারখানা এবং একটি ড্রেজিং সংস্থার প্রকল্প। কাজ হতে পারে ১৪০৪ জনের।
এর আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে রাজ্য যথাক্রমে ২২৬৯ কোটি এবং ৫৭০ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব পেয়েছিল। কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ১১,৫৮৫ এবং ৫৭২০ জনের। ভারত চেম্বারের সভাপতি এন জি খেতান বলেন, “জানুয়ারিতে যে বড় প্রস্তাব এসেছে, তারা রাজ্যে আগে থেকেই আছে। নতুন সংস্থা নয়। বাংলার জমিনীতি, আর্থিক উৎসাহ নীতি, আইন-শৃঙ্খলা শিল্পের জন্য সদর্থক নয়। তাই বাইরে থেকে পুঁজি আসে না। জানুয়ারি-এপ্রিলের ফারাকে এটা স্পষ্ট।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পকর্তার বক্তব্য, বর্তমান সরকারের আমলে একমাত্র ২০১৫-এ লগ্নির প্রস্তাব ১০ হাজার কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে। বরং জানুয়ারির অঙ্ক ব্যতিক্রম। তার পর থেকে অঙ্কটা ধারাবাহিক ভাবে চোখে পড়ার মতো কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy