স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গবেষণা। কিংবা শিক্ষা ও আর্থিক লগ্নি। আগামী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা নেবে কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই)। শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি সংসদে পেশ করা আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, এআইয়ের জন্য কাজ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, এআইয়ের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের কর্মীরা। তাঁদেরই কাজ হারানোর সর্বাধিক আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষকদের দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশকারীরা একটি নতুন যুগের সূচনা করতে চলেছেন। এর সাহায্যে বহু কাজ সংক্রিয় ভাবে করা সম্ভব হবে।
এআইয়ের প্রভাব কোথায় কোথায় সর্বাধিক দেখা যাবে, সমীক্ষা রিপোর্টে তার উল্লেখ করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, জনস্বাস্থ্য, গবেষণা, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা এবং আর্থিক পরিষেবা। এই সমস্ত ক্ষেত্রে মানুষের কর্মক্ষমতাকে কৃত্রিম মেধা ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের অনেকেই কাজ হারাবেন বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সমীক্ষকদের কথায়, পূর্ববর্তী শিল্প এবং প্রযুক্তিগত বিপ্লবের প্রেক্ষাপট দেখলে বৃহৎ পরিসরে কৃত্রিম মেধার ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে একটি ধারনা পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে সাবেক ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু হ্যালডেনের উদাহরণ দিয়েছেন তাঁরা। আগের শিল্প ও প্রযুক্তি বিপ্লব ‘বেদনাদায়ক’ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। এর বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গিয়ে ব্যাপক আর্থিক কষ্ট, গৃহহীন হওয়া, দীর্ঘস্থায়ী বেকারত্ব এবং আয়ের বৈষম্য বৃদ্ধির কথা বলতে শোনা গিয়েছে ওই ইংরেজ অর্থনীতিবিদকে।
আরও পড়ুন:
আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে কৃত্রিম মেধার সর্বাধিক প্রভাব তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে পরার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। কারণ, এদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের একটি বড় অংশ কম আয়ের শ্রেণিতে পড়েন। অন্যদিকে খরচ কমাতে এই ধরনের সংস্থাগুলি আগামীদিনে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের রাস্তায় হাঁটতে পারে। আর তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।