Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Anil Ambani

ঋণ নিয়ে সতর্ক অনিল

সন্দেহের মেঘ ঘনীভূত হওয়ায় এ ভাবেই কি নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টায় নামলেন অনিল?

অনিল অম্বানি। —ফাইল ছবি

অনিল অম্বানি। —ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০৫:৩৮
Share: Save:

ইয়েস ব্যাঙ্কে বিভিন্ন সংস্থার অনাদায়ি ঋণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী ইডি। যার মধ্যে রয়েছে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর ন’টি সংস্থাও। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রিলায়্যান্স গোষ্ঠী জানাল, এই ব্যাঙ্ক থেকে তাদের নেওয়া পুরো ঋণই সুরক্ষিত। সাধারণ ভাবে ব্যবসা চালানোর জন্যই তা নেওয়া হয়। সেই সব ধার শোধ দিতে দায়বদ্ধ তারা আর তা মেটানো হবে সম্পত্তি বেচে হাত আসা টাকা দিয়েই।

এ কথা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সন্দেহের মেঘ ঘনীভূত হওয়ায় এ ভাবেই কি নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টায় নামলেন অনিল? বিশেষত রিলায়্যান্স যেহেতু বলেছে, ‘‘ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন কর্তা রাণা কপূর, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও পরিবারটির পরিচালনাধীন সংস্থার থেকে তারা ঋণ নেয়নি।’’ অনেকেই বলছেন, অনিল তো ধার নিয়েছেন ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে।

তা হলে হঠাৎ এই বার্তা কেন!

এ দিকে বুধবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, ইয়েস ব্যাঙ্ক অনেক দিন ধরেই খারাপ আর্থিক অবস্থার কথা জানাচ্ছিল। ফলে সময় ছিল আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার। আশা, এখনকার পরিকল্পনা ফল দেবে।

ইয়েস ব্যাঙ্ক ঘিরে দিনভর

• ইয়েস ব্যাঙ্ক তাদের ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ মেটাতে অন্য ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে নেফ্ট এবং আইএমপিএসের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিষেবা চালু করেছে আগেই। এ দিন চালু হল আরটিজিএস।


• ইয়েস ব্যাঙ্কে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে যে সংস্থার, কর্মীদের বেতন মেটাতে টাকা পেতে সমস্যা হবে না তাদের।

• ইডি-র দাবি, রাণা কপূরের আমলে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। ২০ হাজার কোটিই অনুৎপাদক সম্পদ হয়েছে। কোন পথে তা হল, বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা জরুরি। সে জন্য হেফাজতে রাখা দরকার রাণাকে।

• ইডি-র হেফাজতে রাণাকে রাখার মেয়াদ বুধবার
১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়াল আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের আওতায় মামলার বিশেষ আদালত।

অন্য বিষয়গুলি:

Anil Ambani Yes Bank ED Rana Kapoor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE