পুঁজির অভাবে বসে গিয়েছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর গো ফার্স্টের প্রায় অর্ধেক বিমান। ফাইল ছবি।
পুঁজির অভাবে বসে গিয়েছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর গো ফার্স্টের প্রায় অর্ধেক বিমান। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। দ্বারস্থ হয়েছে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি)। পর্যটন এজেন্টদের সংগঠন টাই-এর আশঙ্কা, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সস্তা বিমান পরিষেবা সংস্থাটির রুটগুলিতে চাহিদার চাপে টিকিটের দাম বাড়তে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির উপর্যুপরি ঢেউ পার করে আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উড়ান পরিষেবার চাহিদাও বাড়ছে। টিকিটের দামও বেড়েছে যথেষ্ট। এখন আবার তা বাড়লে চাপে পড়বেন যাত্রীরা। তা ছাড়া গত কয়েক বছরে দেশে একের পর এক বিমান সংস্থা গুটিয়ে যাওয়ায় এই শিল্পকে রীতিমতো ভঙ্গুর দেখাচ্ছে। এর সমাধানে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করেছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
১৭ বছরের পুরনো গো ফার্স্ট ব্যবহার করে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি (পিঅ্যান্ডডব্লিউ) সংস্থার ইঞ্জিন। কিন্তু টাকার অভাবে এখন তা আনতে পারছে না। করা যাচ্ছে না ইঞ্জিন মেরামতির কাজ। পিঅ্যান্ডডব্লিউ-র পরিষেবা না পেয়ে সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সালিশি কেন্দ্রে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, বিমান ভাড়া দেওয়ার সংস্থাগুলির টাকাও মেটাতে পারেনি গো ফার্স্ট। সংস্থার সিইও কৌশিক খোনা জানান, কর্মীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন তাঁরা। সংস্থাকে বাঁচানোর জন্য গিয়েছেন এনসিএলটিতে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ট্রাইবুনালের দিল্লি বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হতে পারে।
এ দিন টাই-এর সভাপতি জ্যোতি মায়াল বলেন, ‘‘গো ফার্স্টের সঙ্কট বিমান শিল্পের পক্ষে খারাপ খবর। কিংফিশার এয়ারলাইন্স এবং জেট এয়ারওয়েজ়ে আমাদের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ বার আরও একটি সংস্থা দেউলিয়া বিধিতে আবেদন জানাল।... গো ফার্স্ট যে সমস্ত রুটে বিমান চালায় সেখানে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভাড়া বাড়তে পারে।’’ উড়ান বাতিলের ফলে কয়েক হাজার যাত্রীর টাকা আটকে রয়েছে। তার ফলেও পর্যটন এজেন্টদের উপরে চাপ বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে জ্যোতির বক্তব্য, টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব বিমান সংস্থার। কিন্তু দেউলিয়া বিধি কার্যকর হলে নিয়ম আলাদা। এই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, কিংফিশার এবং জেট বসে যাওয়ার সময়েও বহু যাত্রীর টিকিটের টাকা মার গিয়েছে। সে কারণে এ দফাতেও যাত্রী মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। টাই-এর দাবি, বিমানের টিকিটকে বিমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy