Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Amit Mitra

রাজ্যকে ডোবাতে চায় কেন্দ্র? প্রশ্ন অমিতের

অমিতবাবুর দাবি, রাজ্যগুলিকে বাজার থেকে ধার করে ক্ষতিপূরণ ও ঘাটতি মেটানোর প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে জিএসটি পরিষদে পাশ করানো হলে, সেটি হবে কেন্দ্রের পেশিশক্তি দেখানোর শামিল।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৩৮
Share: Save:

এক দিকে তলিয়ে যাওয়া জিডিপি, অন্য দিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে না-চেয়ে কেন্দ্রের রাজ্যগুলিকে ধার করে সেই ঘাটতি ভরার প্রস্তাব। এক ওয়েব পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই জোড়া ফলাতেই ফের মোদী সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কখনও তোপ দেগে বললেন, ‘‘ভারত সরকার অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়গুলি বোঝেই না, তাদের কথাবার্তায় শিক্ষার অভাব।...এ বছর জিডিপি-র সঙ্কোচন হবে অন্তত ১৫%।’’ কখনও জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাতে না-চাওয়া এবং বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে রাজ্যগুলিকে ঋণ নিতে জোরাজুরি করাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলে হুঁশিয়ার করলেন কেন্দ্রকে।

তাঁর বার্তা, ‘‘সরকার স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে ক্ষতিপূরণের বিকল্প প্রস্তাব রাজ্যগুলির ঘাড়ে জোর করে চাপালে, তা হবে ঐতিহাসিক ভুল এবং এক ভয়ঙ্কর নজির।....যার প্রভাবে জিএসটির ভিতটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’’ এ ভাবে সরকার আসলে রাজ্যগুলিকে ডোবাতে চাইছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অমিতবাবু।

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেটানোর জন্য রাজ্যগুলিকে বাজার থেকে ধার করার যে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বেশ কিছু রাজ্য তাতে আপত্তি তুলেছে। তাদের একটি বিকল্প মেনে নিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

তবে অমিতবাবুর দাবি, রাজ্যগুলিকে বাজার থেকে ধার করে ক্ষতিপূরণ ও ঘাটতি মেটানোর প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে জিএসটি পরিষদে পাশ করানো হলে, সেটি হবে কেন্দ্রের পেশিশক্তি দেখানোর শামিল। তাঁর মতে, পুরো বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ব্যপারে সরকারের কোনও জ্ঞানই নেই। অমিতবাবুর দাবি, এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের মতো বহু রাজ্যের মোটা অঙ্কের দেনা রয়েছে। তার উপরে জিএসটির ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ধার করলে রাজ্যগুলি ডুববে। আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। কেন্দ্র হবে আরও শক্তিশালী। যাতে আখেরে ধাক্কা খাবে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। বরং তাঁর মতে, কেন্দ্র অনেক সহজে বাজার থেকে ধার করতে পারে। রাজ্যের থেকে সুদও ২% কম দিতে হয়। উপরন্তু তাদের হাতে টাকা ছাপানোর ক্ষমতা রয়েছে। যা দিয়ে ওই ঘাটতি মেটানো সম্ভব।

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে দেশের জিডিপি তলিয়েছে ২৩.৯%। অর্থনীতির দুরবস্থা নিয়ে সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। যদিও অমিতবাবুর দাবি, ২৩.৯% সঙ্কোচনের যে হিসেব কেন্দ্র দিচ্ছে, তা ঠিক নয়। বরং অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতিকে এর সঙ্গে জুড়লে দেখা যাবে তা আসলে ৩২-৩৩%।

অন্য বিষয়গুলি:

Amit Mitra GST Compensation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy