Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

উন্নয়নে সহযোগিতার ইঙ্গিত আমেরিকার

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি আর্থিক বৃদ্ধির দিক থেকে পিছনে ফেলছে অনেককেই। কিন্তু উল্টো দিকে, দুনিয়ার মোট দরিদ্র মানুষের ৪০ শতাংশের বাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। অনুন্নত পরিকাঠামো, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সংস্কারের অভাব ও দীর্ঘসূত্রতা অনেক সময়েই সেই বৃদ্ধির গতি রোধ করে। এ ধরনের বাধা কাটাতেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে আমেরিকা।

শহরে রিচার্ড বর্মা।–নিজস্ব চিত্র

শহরে রিচার্ড বর্মা।–নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩২
Share: Save:

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি আর্থিক বৃদ্ধির দিক থেকে পিছনে ফেলছে অনেককেই। কিন্তু উল্টো দিকে, দুনিয়ার মোট দরিদ্র মানুষের ৪০ শতাংশের বাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। অনুন্নত পরিকাঠামো, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সংস্কারের অভাব ও দীর্ঘসূত্রতা অনেক সময়েই সেই বৃদ্ধির গতি রোধ করে। এ ধরনের বাধা কাটাতেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে আমেরিকা।

বৃহস্পতিবার কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট আয়োজিত এক সভায় ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের কথায় এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। মূলত জলপথ পরিবহণ, বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি ক্ষেত্র, শিল্প-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রভৃতি বিষয়ে সহযোগিতা এ দিনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসে। প্রাসঙ্গিক ভাবেই চলে আসে সাইবার নিরাপত্তা ও সমাজের পিছিয়ে প়়ড়া মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গটিও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, আগামী দু’দশকের মধ্যে সারা বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জাতীয় আয়ের ৫০ শতাংশ দখলে থাকবে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের দেশগুলির হাতে। বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক শিল্প-বাণিজ্যে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন বা ‘বিমস্টেক’ দেশগুলি একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন সহায়তার হাত ধরে তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে দাবি করেন বিভিন্ন দেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা। প্রসঙ্গত, বিমস্টেক দেশগুলির তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপাল।

ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড আর বর্মা যেমন মনে করেন, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ৫০ হাজার কোটি ডলার ছোঁবে। যা এখন ১১ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মারিকা বার্নিকাট সে দেশের মানবসম্পদ ও জলপথ পরিবহণকে উন্নয়নের অন্যতম উপাদান বলে মনে করেছেন। আবার নেপালের মার্কিন রাষ্ট্রদূত আলিয়ানা তেপলিজ মনে করেন, সে দেশের জলবিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা উন্নয়নের হাতিয়ার হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

South Asian countries Richard Verma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy