শেয়ার মার্কেটে ধাক্কা, পড়ল সেনসেক্স —ফাইল চিত্র
মুম্বই, ১৫ জুন: মুনাফা তোলার তাগিদে উঁচু বাজারে সব সময়ই শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি থাকে। তার উপর বুধবার আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ টানা ১০ বার সুদ বাড়ানোর পরে এই প্রথম তার হার অপরিবর্তিত রাখলেও, চলতি বছরে আরও দু’বার বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশ্ব বাজারে বেশ কিছু সূচককে নামতে দেখা গিয়েছে। ফলে নজিরবিহীন উচ্চতার কাছাকাছি পৌঁছেও বৃহস্পতিবার ৩১০.৮৮ পয়েন্ট নেমেছে সেনসেক্স। তিন দিনের দৌড়ে ইতি টেনে হয়েছে ৬২,৯১৭.৬৩। নিফ্টি ৬৭.৮০ নেমে ১৮,৬৮৮.১০। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও পড়েছে। ১ ডলার ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮২.২৫ পয়সা।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, আমেরিকায় আরও সুদ বাড়লে মন্দায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের। চড়া সুদের জেরে ইতিমধ্যেই দেউলিয়া হয়েছে সে দেশের সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক ও সিগনেচার ব্যাঙ্ক। ইউরোপে বিক্রি হয়ে গিয়েছে ক্রেডিট সুইস। সেই মিছিলে শামিল হতে পারে আরও অনেকে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও ধাক্কা খেতে পারে। দেশের বাজারে এ দিন শেয়ার দর পড়েছে মূলত ব্যাঙ্ক, তথ্যপ্রযুক্তি এবং আর্থিক সংস্থাগুলির।
চল্লিশ বছরের মধ্যে সব থেকে চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার (৯.১%) দেখেছিল আমেরিকা। তাকে রুখতে গত বছরের মার্চ থেকে ফেডারাল রিজ়ার্ভ লাগাতার সুদের হার বাড়িয়েছে। ফলে তা এখন ৫.১ শতাংশ, ১৬ বছরে সর্বোচ্চ। তার পরে বুধবার এই প্রথম সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল তারা। তবে চলতি বছরে যে আরও দু’বার সুদ বাড়ানো হতে পারে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছে ফেড। প্রথমটা হতে পারে আগামী মাসেই। ফেড কর্তাদের দাবি, মূল্যবৃদ্ধিতে এতদিন ধরে বাড়ানো সুদের প্রভাব যাচাই করার সময় চান তাঁরা। তাই এ বার তা স্থির রাখা হল। সুদ স্থির রাখার কারণ হিসাবে এপ্রিলের ঋণনীতিতে যা বলেছিল ভারতীয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির হার এখন ৪ শতাংশে নেমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটির চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের দাবি, মানুষের সমস্যা কমাতে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ২ শতাংশে নামাতে চান তাঁরা। তবে আগামী দিনে দামে রাশ টানার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হবে। এ দিন সন্ধ্যায় খবর আসে, সুদ বাড়িয়েছে ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও এবং মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ বছরে আরও বহু বার বৃদ্ধির পরিকল্পনা আছে তাদের। তাদেরও লক্ষ্য মূল্যবৃদ্ধিকে ৬.১% থেকে ২ শতাংশে নামানো।
যদিও দেশের অর্থনীতি নিয়ে সদর্থক বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গড় মূলধনী লগ্নি ২০ শতাংশেরও বেশি হারে বাড়ছে। কর্মসংস্থানে প্রাক-কোভিডকে ছাড়িয়েছে আতিথেয়তার মতো ক্ষেত্র। রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গতি বাড়ছে অর্থনীতির। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy