ঝক্কিহীন পিএফ, এনপিএসে আরও সুরক্ষা

নতুন অর্থবর্ষে পা রাখল দেশ। আর সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হল ইতিপূর্বে সরকারের ঘোষণা করা কিছু নতুন নিয়ম। সরকারি সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, সোমবার অর্থাৎ ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের ১ এপ্রিল থেকে যে সমস্ত নতুন পদক্ষেপ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম প্রভিডেন্ট ফান্ডকে কর্মীদের জন্য আরও সহজ করার সংশোধিত বিধি। পাশাপাশি এ দিন থেকেই আরও আঁটোসাঁটো হয়েছে পেনশন প্রকল্প এনপিএসের সুরক্ষা। পিএফ দফতর সূত্রের দাবি, সব ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য গ্রাহকের স্বার্থরক্ষা।

প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে পদক্ষেপটি তাদের কোনও সদস্য চাকরি বদল করে অন্য সংস্থায় গেলে, তাঁর আগের সংস্থার পিএফ এবং পেনশন অ্যাকাউন্টে জমা টাকা নতুনটিতে স্থানান্তর সংক্রান্ত। পুরনো ব্যবস্থায় সংস্থা পরিবর্তনকারী কর্মীকে পিএফ এবং পেনশন তহবিলের টাকা নতুন সংস্থার আওতায় সরাতে হলে ১৩ নম্বর ফর্মে দু’টির জন্য আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে হত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ক্ষেত্রে অভিন্ন বা ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) থাকলেও, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাটের। নতুন নিয়মে এ বার থেকে ওই ভাবে আবেদন করার আর কোনও প্রয়োজন হবে না। সদস্য নিজেই পিএফের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পুরনো সংস্থার পিএফ এবং পেনশনের টাকা নতুন সংস্থায় চটজলদি সরিয়ে নিতে পারবেন। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নতুন ব্যবস্থা সদস্যের পিএফ এবং পেনশনের টাকা স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়াকে অনেক সরল করবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সহজে টাকা সরিয়ে নেওয়া যাবে নতুন নিয়োগকারীর আওতায়।’’

অন্য দিকে, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) ক্ষেত্রে সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে সদস্যদের অ্যাকাউন্টের টাকাকে আরও সুরক্ষিত করার পদক্ষেপ। আগে পেনশন প্রকল্পটির গ্রাহকেরা তাঁদের ‘ইউজ়ার আইডি’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ ব্যবহার করে নিজেদের এনপিএস অ্যাকউন্ট খুলতে পারতেন। নতুন নিয়মে বাড়তি সুরক্ষাবর্ম হিসেবে ‘ইউজ়ার আইডি’ এবং ‘পাসওয়ার্ডের’ সঙ্গে জোড়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের আধার নম্বরকে। ফলে শুধু ওই আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আর অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। তার সঙ্গে আধার নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া ‘ওটিপি’ও দিতে হবে। এনপিএস ট্রাস্টি বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অতনু সেনের দাবি, “সাধারণ মানুষের অবসরের জন্য জমানো তহবিলকে আরও নিরাপদ করার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুরক্ষা আরও পোক্ত করার ক্ষেত্রে নতুন ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন’ ব্যবস্থা এটি। অর্থাৎ দুই পরতের যাচাই প্রক্রিয়া।’’