সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, খাদ্যপণ্যের ৯% মূল্যবৃদ্ধি কখনওই নিশ্চিন্ত করার মতো নয়। —প্রতীকী চিত্র।
খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা মাথা নামাল, কিন্তু নিশ্চিন্ত করল না। অন্য দিকে, শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির বৃত্তে রয়ে গেলেও, তার শ্লথ গতি বাড়িয়ে দিল উদ্বেগ। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আশঙ্কার পারদ খুব বেশি নামল না। অন্য অংশের অবশ্য দাবি, মূল্যবৃদ্ধি হার ৬ শতাংশের নীচে নামায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে ফের সুদ কমানোর রাস্তা খুলেছে। ৩.৫ শতাংশে থমকে যাওয়া শিল্পবৃদ্ধির হারও তুলে ধরছে সুদ ছাঁটাইয়ের প্রয়োজনীয়তাকেই।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশ, নভেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৪৮%। যা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশের সর্বোচ্চ সহনসীমার নীচে। অক্টোবরের হার ৬.২১ শতাংশে উঠে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছিল। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও অক্টোবরের ১০.৮৭% থেকে নেমেছে ৯.০৪ শতাংশে। অন্য দিকে শিল্পবৃদ্ধি আগের বছরের ১১.৯ শতাংশের তুলনায় নেমে হয়েছে ৩.৫%। কল-কারখানা, খনন এবং বিদ্যুতের মন্থর উৎপাদনই এর কারণ। সেপ্টেম্বরের ৩.১ শতাংশের তুলনায় অবশ্য শিল্পবৃদ্ধির গতি সামান্য
হলেও বেশি।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, খাদ্যপণ্যের ৯% মূল্যবৃদ্ধি কখনওই নিশ্চিন্ত করার মতো নয়। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আরও কমলে ফেব্রুয়ারিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমাতে পারে। অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর বলেন, ‘‘খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমায় সার্বিক হার মাথা নামিয়েছে। তবে বাজারে এখনও অনেকের হাত পুড়ছে।’’ তাঁর দাবি, চড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে বহু মানুষ বাড়তি খরচ করছেন না। চাহিদা কমেছে। তাই উৎপাদনে ভাটা। এই সবেরই ধাক্কা স্পষ্ট শিল্পবৃদ্ধির এত কম হারে। সরকারি খরচ কমার কারণে পরিকাঠামো উৎপাদনের শ্লথ গতি এবং রফতানির ঝিমিয়ে থাকার প্রভাবও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy