চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যে কৃষিঋণের অঙ্ক ১ লক্ষ কোটি টাকা পেরোবে বলে নিশ্চিত সরকার। সম্প্রতি নাবার্ডের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিব ওঙ্কার সিংহ মীনা জানান, ২০২৪-২৫ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ঋণ ৭৫,০০০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। ফলে এই অর্থবর্ষে ঋণের লক্ষ্য পূরণে সমস্যা হবে না। এমনকি পরের বছর ১.২৭ লক্ষ কোটি ঋণের লক্ষ্যও ছোঁয়া যাবে বলে মনে করেন নাবার্ডের চিফ জেনারাল ম্যানেজার পি কে ভরদ্বাজ।
নাবার্ডের পরিকল্পনা রিপোর্ট বলছে, আগামী অর্থবর্ষে সরাসরি কৃষি ক্ষেত্রে ১.০৭ লক্ষ কোটি, কৃষি পরিকাঠামো ও অন্যান্য ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২০,০০০ কোটি ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ছোট শিল্পের জন্য ২ লক্ষ কোটি এবং বাড়ি, শিক্ষা-সহ নানা খাতে ৫৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনা সফল করতে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির সব সদস্যকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান ভরদ্বাজ।
মীনা জানান, পশ্চিমবঙ্গ ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু তৈলবীজ ও ডালে পিছিয়ে। এই দুই ক্ষেত্রে এগোনোর পথ খুঁজতে নাবার্ডের সঙ্গে কথা বলা, ঋণের অঙ্ক বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ জরুরি। ভাল বীজ উৎপাদন বা দীর্ঘ দিন ফসল মজুতের জন্যও ঋণ প্রয়োজন। তবে কৃষিঋণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাঙ্ক কয়েকটি জেলায় যে লক্ষ্য পূরণ করতে পারছে না, তা মেনেছেন তিনি।
সভায় উপস্থিত রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে মোট দুধ উৎপাদন বাড়লেও, পশ্চিমের জেলাগুলিতে পরিকল্পনা ও অর্থের অভাবে বাজার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নাবার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এ ক্ষেত্রে কাজ করার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)