প্রতীকী ছবি।
অতীতের সাফল্য-ব্যর্থতার চুলচেরা হিসাব, তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবে সংস্থা, কী হবে তার নীল নকশা, সব কিছুই ঠিক হয় সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে। মঙ্গলবার ডেলয়েট গ্লোবালের সমীক্ষা জানাল, ভারতের কর্পোরেট দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার পদে ও সংস্থার পরিচালন পর্ষদে মহিলা প্রতিনিধিত্বের হার বাড়লেও পর্ষদের শীর্ষে বা চেয়ারপার্সন পদে তাঁদের সংখ্যা সাম্প্রতিক কালে কমেছে।
উপদেষ্টা সংস্থাটির রিপোর্ট বলছে, এ দেশে বিভিন্ন সংস্থার পর্ষদে (বোর্ডে) মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব ২০১৪ সালের ৯.৪% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭.১%। কিন্তু ২০১৮ সালে ৩.৬% মহিলা চেয়ারপার্সন থাকলেও, এখন তা
মাত্র ০.৯%।
প্রত্যেক সংস্থার পর্ষদে নির্দিষ্ট সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধি রাখতে ২০১৩ সালে কোম্পানি আইন সংশোধিত হয়। তার পরেও অবশ্য অভিযোগ ওঠে অনেকেই সেই নিয়ম মানছে না। ভারত-সহ বিশ্বের ৭২টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছে ডেলয়েট। সংস্থার ভারতীয় শাখার চেয়ারপার্সন অতুল ধাওয়ান বলেন, উঁচু পদগুলিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা বাড়াতে যে মাপকাঠি স্থির করার চেষ্টা করেছিল নিয়ন্ত্রক, বাস্তবে তার সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়ে গিয়েছে বহু জায়গায়। সমীক্ষাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, শীর্ষ পদে এখনও ব্রাত্য মহিলারা। সেই ভারসাম্য রক্ষায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে ভারতের কর্পোরেট দুনিয়াকে। তবে সংস্থার সিইও পদের দায়িত্বে মহিলা প্রতিনিধি বেড়েছে। ২০১৮ সালে ছিল ৩.৪%, ২০২১-এ ৪.৭%।
বিশ্বের ছবিটা কেমন?
সমীক্ষা জানাচ্ছে, খুব বেশি ফারাক নেই ভারতের থেকে। ২০১৮ থেকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সংস্থার পর্ষদে মহিলা ডিরেক্টরের সংখ্যা ১.৯% বেড়ে হয়েছে ১৯.৭%। এই গতিতে চললে পর্ষদে পুরুষ-মহিলার সংখ্যায় সামঞ্জস্য আনতে ২০৪৫ সাল গড়িয়ে যাবে। দেখা গিয়েছে, যে সংস্থার সিইও মহিলা, সেখানে পর্ষদে মহিলা প্রতিনিধি বেশি। যা প্রায় ৩৫.৫%। সিইও পুরুষ হলে ওই হার ১৯.৪%। যে পর্ষদের শীর্ষে মহিলা, সেখানেও ছবিটা অবিকল এক। রিপোর্টে দাবি, বোর্ডে পুরুষ-মহিলার ভারসাম্য যথেষ্ট হলে পর্ষদ সংস্থায় মহিলা সিইও এবং চেয়ারপার্সন নিয়োগে বেশি উদ্যোগী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy