রাষ্ট্রপুঞ্জ। —ফাইল চিত্র।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ক্ষুধা-মুক্ত’ পৃথিবীর যে লক্ষ্য রাষ্ট্রপুঞ্জ নিয়েছে, তা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করেন জার্মানির কৃষি অর্থনীতিবিদ মার্টিন কাইম। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে কৃষি অর্থনীতিবিদদের ৩২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বক্তৃতায় তাঁর মত, এখন সারা বিশ্বে যে ধরনের অপুষ্টি এবং ক্ষুধা দেখা যাচ্ছে, তা উন্নয়নকে ধাক্কা দিচ্ছে। ফলে আগামী ছ’বছরের মধ্যে ওই লক্ষ্য পূরণ করা প্রায় অসম্ভব।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমস্ত সদস্য দেশ ১৭টি ক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নয়নের যে লক্ষ্য (সাস্টেনেব্ল ডেভেলপমেন্ট গোলস) স্থির করেছিল, তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হল ২০৩০ সালের ভিতরে বিশ্বের সমস্ত মানুষের ক্ষুধা মেটানোর ব্যবস্থা করা। সব উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশই সামিল এই কর্মসূচিতে। কিন্তু তথ্য বলছে, অতিমারির জেরে ওই সমস্ত লক্ষ্য ছোঁয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। বিশেষত, গত কয়েক বছরে যে ভাবে করোনা, বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধে ধনী-দরিদ্রের আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে, তাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী উন্নয়ন নিয়ে ২০৩০ অ্যাজেন্ডা সম্পূর্ণ করা যাবে না বলেই মনে করছে একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তাপ সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন কাইম। তাঁর বক্তব্য, এর জেরে ক্ষুধা পুরোপুরি নিবারণ অসম্ভব হয়ে উঠেছে। উপরন্তু বাড়ছে অপুষ্টির সমস্যা। সেই সঙ্গে আবহাওয়া বদল এবং অন্যান্য পরিবেশ সমস্যায় ইন্ধন জোগাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাসও। বিশেষত যে ভাবে বিশ্বে খাবার তৈরি, বিপণন এবং খাওয়া হয়, গত কয়েক দশকে তার বিশাল কোনও বদল ঘটেনি। আর সেটা না হলে ১৭টি লক্ষ্যের কোনওটিই ছোঁয়া যাবে না বলে মত তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy