—প্রতীকী চিত্র।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত। দুর্যোগে শুধু যে প্রাণহানি ঘটে বা সম্পত্তির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় তা-ই নয়, পরবর্তীকালে সেখানকার ভুক্তভোগী মানুষের জীবন-জীবিকার উপরেও আঘাত নামে। খরচ হয় সম্পত্তির পুনর্গঠনে। স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা ইকোর্যাপের বক্তব্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতি বিপুল জায়গায় পৌঁছলেও বিমার মতো রক্ষাকবচের ব্যবহার এ দেশে নিতান্তই কম। অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেই সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির পরামর্শ দিয়েছে তারা।
ইকোর্যাপের বক্তব্য, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এর সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্কের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। গবেষণা শাখার হিসাব, ১৯০০ সাল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিরিখে আমেরিকা ও চিনের পরেই রয়েছে ভারত। এই সময়কালে এ দেশে ৭৬৪টি দুর্যোগের ৪০২টি হয়েছিল ২০০০ সালের মধ্যে। বাকিগুলি তার পরে। সবচেয়ে বেশি হয়েছে বন্যা (৪১%)। তার পরে ঝড়। ২০০১ সাল থেকে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ এই সব দুর্যোগে পড়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৮৫ হাজার।
এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইকোর্যাপের দাবি, বিশ্ব জুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির ৫৪% বিমার আওতার বাইরে থাকলেও ভারতে তা প্রায় ৯২%। এই অবস্থায় তাদের পরামর্শ, দুর্যোগের আর্থিক ক্ষতি সামলাতে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে বিশেষ আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক। যা সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের ঋণ ও অনুদানের বাইরেও বাড়তি সুবিধা দেবে। যেমন, ২০২০ সালের বন্যায় ৫২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হলেও বিমার আওতায় ছিল মাত্র ১১%। অথচ ৬০ হাজার কোটি টাকার বিমার প্রিমিয়াম বাবদ খরচ হত ১৩-১৫ হাজার কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy