দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। — ফাইল চিত্র।
গাড়ি দুর্ঘটনায় রবিবার মারা গিয়েছেন টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি এবং তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গির পাণ্ডোলে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, পিছনের সিটে বসা তাঁদের দু’জনের কেউই সিট বেল্ট লাগাননি। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে গাড়িতে সুরক্ষা বিধি মানা কতটা জরুরি এবং তা না-মানলে মৃত্যু বা আহত হওয়ার ক্ষেত্রে বিমা সংস্থা ক্লেমের দাবি অস্বীকার করতে পারে কি না। বিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটে। আর সেই ঝুঁকির সুরক্ষার জন্যই বিমা কেনা হয়। ফলে কোনও সংস্থা এ ক্ষেত্রে ক্লেমের টাকা দিতে অস্বীকার করতে পারে না। তবে গাড়ি রাস্তায় নামলে সুরক্ষা বিধি মানার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
এমনিতে কম্প্রিহেনসিভ গাড়ি বিমার দু’টি অংশ থাকে। প্রথমটিতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি সারানোর টাকা মেলে। দ্বিতীয়টি থার্ড পার্টি ইনশিয়োরেন্স বা তৃতীয় পক্ষ বিমা। এই বিমা ছাড়া গাড়ি রাস্তায় নামানো বেআইনি। এতে বিমাকারীর সঙ্গেই তৃতীয় পক্ষ হিসেবে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়া অন্য কোনও ব্যক্তি শারীরিক বা সম্পত্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংস্থার থেকে ক্ষতিপূরণ পান।
ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ প্রধান বলেন, “বিমাকৃত ব্যক্তি বিধি মানেননি, সেই কারণ দেখিয়ে সংস্থা দাবি অগ্রাহ্য করতে পারে না। সাইরাসের মতো গাড়ি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও তারা তা বাতিল করতে পারবে না।’’ একই মত জানিয়ে সাধারণ বিমা বিশেষজ্ঞ এন বাঞ্চুর বলেন, “নিরাপত্তা বিধি মানা হয়নি, এই কারণে বিমার দাবি অস্বীকার করা হলে, অধিকাংশ দাবিই বাতিল হবে। কেউ সুরক্ষা বিধি না মানলেও দাবি অগ্রাহ্য করার আইন বর্তমানে চালু নেই।’’
প্রুডেন্ট ইনশিয়োরেন্স ব্রোকার্সের যুগ্ম এমডি জানাচ্ছেন, এখন পলিসির চুক্তিতে সিট বেল্ট পড়ার শর্ত থাকে না। কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষার জন্যই তা বাধা, নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোয় জোর দিতে হবে বলে জানাচ্ছেন বজাজ অ্যালায়্যাঞ্জ জেনারেল ইনশিয়োরেন্সের এমডি তপন সিঙ্ঘল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy