নতুন ফ্ল্যাট অতিমারি পরবর্তী সময়ে বেড়েছে। কিন্তু কমেছে কম দামিগুলি। প্রতীকী ছবি।
সাধারণ রোজগেরে মানুষের স্বপ্ন পূরণে চোখ রেখেই দেশে কম দামি মাথা গোঁজার আস্তানা তৈরিতে জোর দিয়েছিল সরকার। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেগুলির জোগান কমছে বলে জানাল আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা অ্যানারক। তাদের দাবি, মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেথাকা আবাসন (৪০ লক্ষ টাকার কম) হিসেবে পরিচিত সেই সব নতুন ফ্ল্যাটের সংখ্যা ২০১৮ সালে দেশের সাতটি বড় শহরে যা ছিল, গত বছর তার প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। সূত্রের খবর, জমি-সহ নির্মাণের বিভিন্ন উপাদানের মূল্যবৃদ্ধি, সহজ ঋণের সুযোগ না-থাকা ইত্যাদি কারণে নির্মাতাদের লভ্যাংশ কমেছে সেগুলিতে। ফলে তৈরিতেও পড়েছে রাশ।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অতীতে একটু দামি ফ্ল্যাটের কথা ভাবতেন, এমন অনেকেই এখন অল্প দামের আস্তানা খুঁজছেন। কারণ কোভিডের জন্য রোজগারে ধাক্কা এবং মূল্যবৃদ্ধির জেরে বর্ধিত খরচ। অথচ অ্যানারকের রিপোর্ট বলছে, ওই সাত বড় শহরে ২০১৮ সালে ১,৯৫,৩০০টি নতুনের মধ্যে যেখানে স্বল্প সাধ্যের ফ্ল্যাটের জোগান ছিল ৪০%, সেখানে ২০২২-এ তার ভাগ দাঁড়ায় ৩,৫৭,৬৫০টির মধ্যে ২০%। অর্থাৎ, নতুন ফ্ল্যাট অতিমারি পরবর্তী সময়ে বেড়েছে। কিন্তু কমেছে কম দামিগুলি। ২০২০ থেকেই তা কমছিল। ২০১৯ সালেও যা ছিল মোট নতুন ফ্ল্যাটের ৪০%, ২০২০ ও ২০২১-এ তা নামে যথাক্রমে ৩০ ও ২৬ শতাংশে। গত বছরে আরও কম।
সংস্থার চেয়ারম্যান অনুজ পুরী বলেন, ‘‘এই অস্থিরতা অনেক কারণে। জমি অবশ্যই একটি। দামি এবং বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে নির্মাতারা যত দ্রুত জমির দাম তুলছেন, কম দামিতে তা হচ্ছে না।’’ সিমেন্ট, ইস্পাত, মজুরির মতো উপাদানে খরচ বৃদ্ধিও সমস্যা তৈরি করছে, মত অ্যানারকের। আবাসন নির্মাতা সিগনেচার গ্লোবালের চেয়ারম্যান প্রদীপ আগরওয়ালের দাবি, ‘‘জমি, কাঁচামালের দর এত চড়েছে যে, সস্তার ফ্ল্যাট বাজারে আনার সুযোগ কমছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy