—প্রতীকী ছবি।
এমনিতে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে অনাদায়ি ঋণ বরাবরই বেশি থাকার কথা শোনা যায়। কিন্তু সেখানেই করোনার মধ্যে দেশের ব্যাঙ্কিং শিল্পে যে সমস্ত ঋণ পুনর্গঠন হয়েছিল, তার মধ্যে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে অনাদায়ি ঋণে পরিণত হওয়ার নজির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় দ্বিগুণ বলে জানাল ইন্ডিয়া রেটিংসের সমীক্ষা। একই ছবি হিসাবের খাতা থেকে মুছে দেওয়া ঋণের ক্ষেত্রেও (রাইট অফ)। যা কিছুটা হলেও অবাক করেছে সংশ্লিষ্ট মহলকে।
অতিমারি রুখতে ২০২০ সালের মার্চে লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সমস্ত আর্থিক কর্মকাণ্ড থমকে যাওয়ায় ধাক্কা খায় অর্থনীতি। কাজ হারান বহু মানুষ, কমে বেতনও। এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঋণ পুনর্গঠন প্রকল্প আনে কেন্দ্র। তারই অধীনে গত বছর সেপ্টেম্বরে ঢেলে সাজানো ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২.২ লক্ষ কোটি টাকা।
এমনিতে পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) কমিয়ে এবং আয় বাড়িয়ে হাল ফিরেছে দেশের ব্যাঙ্কিং শিল্পে। গত অর্থবর্ষে এক দশকের মধ্যে সব চেয়ে নীচে নেমেছে এনপিএ-র পরিমাণ। তবে এখনও বেসরকারি ব্যাঙ্কে যেখানে তা ২.৩%, সেখানেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ওই অঙ্ক মোট ঋণের ৫%। ২০১৮ সালে যা ছিল যথাক্রমে ৬.৩% এবং ১৪.১%। কিন্তু ইন্ডিয়া রেটিংসের সমীক্ষা অনুসারে, ২০২২-২৩ সালে যেখানে ঢেলে সাজা ঋণের ২৩% অনাদায়ি হয়েছে বা হিসাবে খাতা থেকে মুছে দিতে হয়েছে, সেখানেই বেসরকারি ব্যাঙ্কে তা ৪৪%।
মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, ঋণ দানের ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে নিয়ম মানা ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এনপিএ কমার কারণ। পাশাপাশি, ঋণ মঞ্জুরের জন্য কেন্দ্রীয় বিভাগ তৈরি, গ্রাহক পরিচয় খতিয়ে দেখতে কেওয়াইসি-র নিয়মে জোরের মতো কারণও অনুৎপাদক সম্পদকে টেনে নামিয়েছে। তবে আগামী দিনে ব্যাঙ্কিং শিল্পে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে সমীক্ষা। বলছে, ঋণের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা মঞ্জুরের পরিমাণ বাড়বে। যা এই শিল্পে ঝুঁকি বাড়াবে বলে মনে করছে ইন্ডিয়া রেটিংস। তবে সামগ্রিক ভাবে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে শঙ্কার কারণ নেই বলেই মত তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy