E-Paper

কাজ হাসিলে সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়েছে ৬৬ শতাংশ সংস্থা! সমীক্ষার রিপোর্টে হইচই

১২ মাসে ঘুষ দিয়েছে ৬৬% সংস্থা। এর মধ্যে ৪৬% দ্রুত কাজ করাতে নিজে থেকে টাকা দিয়েছে সরকারি আধিকারিকদের।

ব্যবসা চালাতে ভারতের অর্ধেকের বেশি সংস্থাকেই ঘুষ দিতে হয় সরকারকে।

ব্যবসা চালাতে ভারতের অর্ধেকের বেশি সংস্থাকেই ঘুষ দিতে হয় সরকারকে। —প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৩০
Share
Save

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে দেশ। তারই মধ্যে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দাবি, ব্যবসা চালাতে ভারতের অর্ধেকের বেশি সংস্থাকেই ঘুষ দিতে হয় সরকারকে। অন্তত গত এক বছরের পরিসংখ্যানে তার প্রমাণ স্পষ্ট। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১২ মাসে ঘুষ দিয়েছে ৬৬% সংস্থা। এর মধ্যে ৪৬% দ্রুত কাজ করাতে নিজে থেকে টাকা দিয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। আর বাকি ৫৪% বাধ্য হয়েছে ঘুষ দিতে।

দেশের ১৫৯টি জেলায় ১৮,০০০ সংস্থার মধ্যে ২২ মে থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষাটি চালিয়েছিল লোকাল সার্কল। সেখানে নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক সংস্থাগুলির ৬৬% বলেছে, সরকারি দফতরকে দিয়ে কাজ করাতে, ছাড়পত্র পেতে, এমনকি বহু ক্ষেত্রে নথির প্রতিলিপি (ডুপ্লিকেট) পেতে চাইলেও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের একাংশকে টাকা দিতে হয়। টাকা লাগে জমি-বাড়ি সংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের কাজেই। কোনও ক্ষেত্রে ইচ্ছা করে কাজ আটকে রাখা হয়। যার মধ্যে থাকে পারমিট দেওয়া, ফাইল হস্তান্তর, অর্ডার জারি করা, যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি দেওয়া এবং সরকারি বরাতের টাকা হাতে পাওয়া ইত্যাদি। কারও কারও মতে, আগের থেকে সেই সংখ্যা কমেছে। তবে এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে
যে কাজ স্বাভাবিক নিয়মে হওয়ার কথা, তা টাকা না দিলে হয় না।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ঘুষের টাকার প্রায় ৭৫% গিয়েছে আইন দফতর, পরিমাপ সংক্রান্ত বিভাগ, খাদ্য, ওষুধ ও স্বাস্থ্যের মতো দফতরের কর্তাদের কাছে। বহু ক্ষেত্রে জিএসটি কর্তা, দূষণ বিভাগ, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও বিদ্যুৎ-কর্তাদের পকেটেও ঢুকেছে। সরকারি দফতরগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও, বন্ধ দরজার ওপারে ঘুষের লেনদেন চলে। ১৬% সংস্থার দাবি, তারা কোনও কাজে কখনও ঘুষ দেয়নি। সব কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে। ১৯ শতাংশের বক্তব্য, তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।

ডেলয়েট ইন্ডিয়ার মতে, বহু সংস্থা বিশ্বাস করে নীতি এবং কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা আপস করলে নিয়ন্ত্রকের নজরে
পড়তে হয় না বা জরিমানা দিতে হয় না। এই ধরনের মনোভাব অতীতে কাজে এলেও, সময় বদলেছে। ঘুষের অভিযোগ আরও বেশি করে সামনে আসছে। তাই সংস্থাগুলির পরিচালন কাঠামো ফিরে দেখে দুর্নীতি কমানোর দিকে মন দেওয়া দরকার। লোকাল সার্কলের দাবি, এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নেটে পণ্য কেনার ব্যবস্থা কাজে লাগছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির রাস্তা খোলা।


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bribery case survey GST

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।