—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ফ্ল্যাট-বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় উঠে যাওয়ায় বিক্রি কমার আশঙ্কা করছে আবাসন শিল্পের একাংশ। তাদের মতে, এতে খরচ বাড়ায় বিমুখ হবেন সাধারণ মধ্যবিত্ত ক্রেতা। ফলে সাধ্যের আবাসনগুলির (অ্যাফর্ডেবল হাউসিং) চাহিদা আরও কমতে পারে। যেগুলির বিক্রি এমনিতেই ঢিমে। অন্য অংশের দাবি, কোভিডে মুখ থুবড়ে পড়া বাজার চাঙ্গা করতে কাজে দিয়েছিল ছাড়। এখন উন্নত আর্থিক পরিস্থিতিতে তা না থাকার প্রভাব তেমন পড়বে না।
আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্রাঙ্কের হিসাব বলছে, গত জানুয়ারি-মার্চে কলকাতায় সাধ্যের আবাসনের (৪০-৫০ লক্ষ টাকা দামের) বিক্রি বেড়েছে মাত্র ৩%। তুলনায় বেশি দামিগুলির (মিড সেগমেন্ট, ৫০ লক্ষের বেশি থেকে এক কোটি টাকার) প্রায় ৩৯%। সরকারি ছাড়ের মেয়াদ না বাড়ায় এখন ১ কোটি টাকা পর্যন্ত দামের ফ্ল্যাট-বাড়িতে স্ট্যাম্প ডিউটি ৪% থেকে বেড়ে হল ৬%। আর তার উপরে বিলাসবহুলগুলির ক্ষেত্রে ৫% থেকে বেড়ে ৭%।
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই বেঙ্গলের সভাপতি সুশীল মোহতার দাবি, ‘‘সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সাধারণ ক্রেতার উপর। ছাড়ের সুযোগ নিতেই যাঁদের অনেকে গত আড়াই বছরে ফ্ল্যাট বুক করেছেন বা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ ইউনিমার্ক গোষ্ঠীর সিএমডি হর্ষবর্ধন পাতোদিয়ার আশঙ্কা, বিক্রি কমতে পারে সব স্তরের আবাসনের। পূর্তি রিয়েলটির এমডি মহেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘সামগ্রিক বিক্রির হারও খানিকটা থমকে যাবে। সব থেকে ধাক্কা খাবে মিড সেগমেন্ট। ছাড় বহাল থাকলে সব পক্ষ উপকৃত হত।’’ তবে নাইট ফ্রাঙ্কের (পূর্ব) সিনিয়র ডিরেক্টর অভিজিৎ দাস ছাড়ের অভাবে বিক্রি কমা নিয়ে সন্দিহান। বলছেন, ‘‘যিনি ৩০ লক্ষ টাকায় ফ্ল্যাট কিনবেন, তিনি ৬০ হাজার টাকার জন্য পিছোবেন? বরং রাজ্যের রাজকোষ ভরবে।’’ ক্রেডাই ইতিমধ্যেই ছাড় তোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্যকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy