Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Hotel

hotel industry: কাজ হারিয়েছে ৫ কোটি, ত্রাণ চায় হোটেল শিল্প

এখন ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আর করছেন না হোটেল-রেস্তরাঁ ব্যবসায়ীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাময়িক ভাবে সরকারি ফি এবং কর মকুবের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৪২
Share: Save:

অতিমারির দুই ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত হোটেল-রেস্তরাঁ ব্যবসা নতুন বছরে লোকসানের বোঝা কিছুটা কমানোর আশায় ছিল। কিন্তু তাতেও এ বার জল ঢালল সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকা ওমিক্রন সর্বত্র কড়া বিধিনিষেধের নিয়ম মানতে বাধ্য করছে। হোটেল-রেস্তরাঁ শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া-র (এফএইচআরএআই) দাবি, কোভিডের একের পর এক ঝাপটায় সব থেকে আগে এবং সকলের থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। দেশ জুড়ে শুধু এই ব্যবসাতেই রুজি-রোজগার হারিয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষ। সংখ্যাটা যাতে আরও না-বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে আর্থিক সাহায্য ছাড়া পথ নেই। ইতিমধ্যেই বিশেষ ত্রাণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা। সরকারি বিভিন্ন ফি এবং কর অন্তত এক বছরের জন্য মকুবের আর্জি জানিয়ে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরবক্সিশ সিংহ কোহলির বক্তব্য, করোনার উপর্যুপরি হানায় কখনও বন্ধ, কখনও সামান্য সময়ের জন্য চালু, তো আবার দীর্ঘ দিন বন্ধ— বার বার এই পরিস্থিতির সাক্ষী হচ্ছে হোটেল-রেস্তরাঁগুলি। যখনই ঘুরে দাঁড়ানোর কথা মনে হয়েছে, এসেছে নতুন ধাক্কা। অথচ ব্যবসা বন্ধ থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বইতেই হচ্ছে। মেটাতে হচ্ছে সরকারি ফি এবং কর। এর আগে সরকারের ত্রাণ প্রকল্পে ঋণের সুবিধা নিয়ে এবং সংস্থাগুলি নিজেদের পুঁজি ঢেলে কোনওক্রমে সে সব চালু রেখেছে এবং যাবতীয় খরচ মেটানোর চেষ্টা করেছে। যারা পারেনি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু একাংশের মতে, ধার শোধ করাও এখন কঠিন।

এই সংশয়ের আবহে পর্যটন ব্যবসার অন্যতম মরসুমও কার্যত শেষের পথে। ফলে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আর করছেন না হোটেল-রেস্তরাঁ ব্যবসায়ীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাময়িক ভাবে সরকারি ফি এবং কর মকুবের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

গুরুবক্সিশরা অদূর ভবিষ্যতে আরও একটি বড়সড় সঙ্কটের আঁচ করছেন। তাঁদের মতে, বার বার ব্যবসা হোঁচট খাওয়ায়, বহু লোকের চাকরি যাওয়ায় কেউ এখন আর হোটেল-রেস্তরাঁয় কাজ করতে চাইছেন না। এর জেরে আগামী দিনে দক্ষ কর্মী পাওয়াই না কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সংশ্লিষ্ট মহলের আর্জি, ত্রাণ আর ছাড়ই এখন ভরসা।

অন্য বিষয়গুলি:

Hotel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy