প্রতীকী ছবি।
মোবাইল টেলিকম ক্ষেত্রে ৪জি প্রযুক্তি চালু হয়েছে বহু দিন। এখন আলোচনা চলছে ৫জি স্পেকট্রামের নিলাম নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, অদূর ভবিষ্যতে কি বন্ধই হয়ে যাবে ২জি এবং ৩জি প্রযুক্তি? পরিস্থিতি যখন এমন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি যখন ৫জি-র দিকে এগোচ্ছে, তখন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল কবে ৪জি পরিষেবা চালু করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি। এরই মধ্যে সেই সংশয় আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিল যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রের বক্তব্য। বুধবার তিনি জানালেন, ১৮-২৪ মাসের মধ্যে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালুর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন, এতটা পিছিয়ে থেকে ৪জি পরিষেবার বাজার আদৌ কতটা ধরতে পারবে বিএসএনএল? অনেকে আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, সংসদীয় কমিটি সম্প্রতি বলেছে, পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঠিক মতো কার্যকর হলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থাটিকে মুনাফার মুখ দেখানো যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ৪জি পরিষেবা পুরোপুরি চালু হতে আরও দু’বছর গড়িয়ে যাওয়া কি এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ?
বছরখানেক আগে বিএসএনএল পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণা হয়। সেই অনুযায়ী সম্প্রতি ৪জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু পরিষেবা চালুর জন্য দরকার ৫০,০০০ বিটিএস বা টাওয়ার এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। গত বছরে এর জন্য দরপত্র চাওয়ার পরেও চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিতর্কের জেরে তা বাতিল হয়ে যায়। বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের বেসরকারিকরণ হবে না বলে আশ্বাসের পাশাপাশি আজ সংসদে ধোত্রে জানান, ৪জি দরপত্রে অংশ নেওয়ার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে প্রযুক্তির প্রমাণ-সহ আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে জানুয়ারিতে। দেড়-দু’বছরের মধ্যে সর্বত্র ৪জি পরিষেবা চালু করতে পারবে বিএসএনএল। উল্লেখ্য, ৪জি স্পেকট্রাম না-থাকায় ৩জি স্পেকট্রাম দিয়ে সীমিত ভাবে কিছু জায়গায় ৪জি পরিষেবা চালু করেছে ক্যালকাটা টেলিফোন্স-সহ বিএসএনএলের কিছু সার্কল। কিন্তু পুরোদস্তুর ৪জি স্পেকট্রাম দিয়ে কবে তা চালু হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
বিএসএনএল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সভাপতি অনিমেষ মিত্রের অভিযোগ, নতুন করে দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হয়েছে। তার উপরে দেশীয় সংস্থার যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের শর্ত রয়েছে। অথচ বেসরকারি সংস্থাগুলির বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধা নেই। দেশে উৎপাদনমুখী শিল্পের লগ্নি ও প্রসার স্বাগত। কিন্তু, দেশীয় সংস্থা এ ক্ষেত্রে কতটা তৈরি তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে। ফলে একই বাজারে দু’রকম নিয়ম থাকলে প্রতিযোগিতায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিছিয়ে পড়বে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy