পারমিতার বিটিএম গ্রুপের সদস্যরা
সম্প্রতি আয়োজিত হয়েছিল কলকাতার জনপ্রিয় লাইফস্টাইল প্রদর্শনী বিটিএম চৈত্র কার্নিভাল। কলকাতার রেঞ্জার্স ক্লাবে ৬-৮ এপ্রিল এই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। নেপথ্যে ছিল জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ বিটিএম। বিগত বছরগুলির তুলনায় এই বছরের প্রদর্শনীতে ছিল বেশ কিছু চমক। প্রদর্শনীর ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার ছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রতি বছরই বাংলা নববর্ষ শুরুর ঠিক আগে, চৈত্র মাসে প্রায় প্রত্যেকেই খোঁজ করেন কোথায় কী অফার চলছে। সেই মতো জমিয়ে চলে কেনাকাটাও। এই সময়টায় প্রত্যেকেই ফেলে আসা বছরের রেশ কাটিয়ে এক নতুন আবহে মেতে উঠতে চান। আর সেই কারণেই প্রতি বছর চৈত্র মাসের মাঝামাঝি কলকাতায় চৈত্র কার্নিভালের আয়োজন করেন বিটিএম ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন পারমিতা ঘোষ। বলা বাহুল্য, এই প্রদর্শনীটির জন্য কার্যত অপেক্ষা করে থাকেন শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ।
অনলাইন সেলিংয়ের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের বাজারের কার্যত ভোল বদলে দিয়েছে পারমিতার বিটিএম গ্রুপ। প্রসঙ্গত, বিটিএম-ই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হওয়া প্রথম ফেসবুক অনলাইন সেলিং গ্রুপ। ৫ বছর আগে শুরু হওয়া এই গ্রুপটি বর্তমানে মহীরুহতে পরিণত হয়েছে। এই গ্রুপের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি সদস্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তার নিরিখে এবং বৈচিত্রে একটি স্বতন্ত্র জায়গাও তৈরি করেছে এই কার্নিভাল। আর সেই কারণেই কলকাতায় এত প্রদর্শনী চলা সত্ত্বেও প্রতি বছর নিয়ম করে বিটিএম চৈত্র কার্নিভালে ভিড় জমান ক্রেতারা।
এ বছরের বিটিএম চৈত্র কার্নিভাল ঘুরে মনে হল, এ যেন এক মহামেলা; এক মিলনক্ষেত্র। যেখানে পুরনো অনলাইন সেলারদের পাশাপাশি ছিলেন ইন্দ্রানী ঘোষ, রূকমণি চট্টরাজ, বিনিতা বেদ, সায়নী ঘোষ, মৌমিতা ঘোষের মতো বহু নতুন বিক্রেতারাও। যাঁরা বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে নিজেদের পণ্য বিক্রি করেছেন। পাশাপাশি, বিগত বছরগুলির তুলনায় এই বছর ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর হবে নাই বা কেন? প্রতি ঘণ্টায় ক্রেতাদের জন্য ছিল ক্যাশব্যাকের অফার— বিটিএম ক্যাশ। যেখানে মাত্র ২০০০ টাকার কেনাকাটা করলেই ক্রেতাদের জন্য ছিল লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে ৫০০ টাকা ক্যাশব্যাকের সুযোগ।
এ বছরের বিটিএম চৈত্র কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঝিলাম গুপ্ত, ভোজ আড্ডার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী বুলবুল পাঁজা সহ আরও অনেক নামকরা ব্যক্তিত্বরা। মেলা ঘুরে দেখার পাশাপাশি, তাঁরা অনেকেই কেনাকাটাও করেছেন। সব মিলিয়ে প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত জমজমাট ছিল প্রদর্শনী চত্ত্বর।
আসলে বিটিএম মানে বহু মানুষের কাছে বিশেষ অনুভূতি। আর তাই বিভিন্ন কারণে স্টল দিতে না পারলেও শুধু মাত্র উৎসাহ দিতে সেই অনুভূতিকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিটিএম গ্রুপের বহু পুরনো জনপ্রিয় বিক্রেতারাও। এঁদের মধ্যে ছিলেন অন্তরা ভট্টাচার্য, পৌসুমী রায়, রিয়া গুহ প্রমুখ।
২০২৩ সালে চৈত্র কার্নিভালের এমন সাফল্যে ভীষণভাবে খুশি গ্রুপের কর্ণধার তথা কার্নিভালের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা পারমিতা ঘোষও। বললেন, “বিটিএম আয়োজিত কোনও প্রদর্শনী মানেই তা অন্যান্য প্রদর্শনীর তুলনায় অনেকখানি আলাদা। তাই বিক্রেতা হোক বা ক্রেতা, প্রত্যেকেই বিটিএম-এর প্রদর্শনীগুলি থেকে একটু বেশি কিছু আশা করেন। গত বছরগুলির মতো এই বছরেও আমরা সেই আশা সাফল্যের সঙ্গে মেটাতে পেরেছি। ক্রেতা আর বিক্রেতাদের এমন সন্তুষ্টি আমায় এই বছর আরও বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী করার উৎসাহ যোগাচ্ছে।” ইভেন্টের আনুষঙ্গিক দিকগুলির পরিকল্পনা ও রূপায়ণে ছিল উই মেক আস (We Make Us)।
এই প্রতিবেদনটি ‘বিটিএম গ্রুপ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy