২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Apollo Multispeciality Hospitals

মস্তিষ্কের ‘ক্যাথেটার’ চিকিৎসা পদ্ধতি কী? আলোচনায় চিকিৎসক মনোজ কুমার মাহাতো

জীবনযাত্রার মান বদলের সঙ্গে সঙ্গে ‘স্ট্রোক’ বা ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর মতো রোগ এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। রোগের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাও।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৮
Share: Save:

‘নিউরো’ শব্দের অর্থ স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্র। মানবদেহকে কার্যকরী এবং সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে অপরিহার্য এই স্নায়ুতন্ত্র। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ স্নায়ুতন্ত্রের উপর নির্ভর করে তার কাজ করে। এটি শরীরের হৃৎস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডে কোনও বড় ধরনের আঘাত লাগলে স্নায়ুর কার্যকারিতার পরিবর্তন হয়। ফলে স্নায়বিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

স্নায়বিক সমস্যা অনেক ধরনের হয়। উদ্বেগজনক স্নায়বিক ব্যাধিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘নিউরোমাস্কুলার ডিজঅর্ডার’, মস্তিষ্কের টিউমার, স্ট্রোক, মৃগী, ‘অ্যালঝাইমার্স ডিজ়িজ়, ‘ডিমেনশিয়া’, ‘পার্কিনসন ডিজ়িজ়’, মাইগ্রেন, ‘মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস’ ইত্যাদি। শরীরে এই ধরনের সমস্যা বা তার উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে ‘নিউরোলজিস্ট’ অর্থাৎ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জীবনযাত্রার মান বদলের সঙ্গে সঙ্গে ‘স্ট্রোক’ বা ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর মতো রোগ এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। রোগের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাও। বর্তমানে ‘স্ট্রোক’ বা ব্রেনের শিরা বন্ধ হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্যে ব্রেনের ‘ক্যাথেটার বেসড’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিন্তু মস্তিষ্কের এই ‘ক্যাথেটার বেসড’ চিকিৎসা পদ্ধতি কী?

মস্তিষ্কের ‘ক্যাথেটার বেসড’ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় চিকিৎসক মনোজকুমার মাহাতো

সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক মনোজকুমার মাহাতো বলেন, “স্ট্রোক বা কোনও কারণে ব্রেনের শিরা ফুলে গিয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে ‘মিনিমালি ইনভেসিভ’ পদ্ধতিতে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তৎক্ষণাৎ স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্কের বন্ধ হয়ে যাওয়া শিরাকে খুলে দিয়ে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়।”

চিকিৎসক মাহাতো আরও বলেছেন, “স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মূলত আগে ‘সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি’ এবং ‘সিটি স্ক্যান’-এর মাধ্যমে রোগীদের প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে, তারপর ‘থ্রম্বেকটমি’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আমাদের নিজস্ব ক্যাথ ল্যাব থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে চিকিৎসা করে রোগীকে সুস্থ করে তোলা হয়।”

এই ‘মিনিমালি ইনভেসিভ’ চিকিৎসা পদ্ধতিতে সময়ও অনেক কম লাগে এবং দ্রুত রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়। ‘ওপেন সার্জারি’র তুলনায় এই পদ্ধতিতে রোগীর সুস্থতার হার বেশি থাকে। তাই শরীরে এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখতে পেলে দ্রুত ‘নিউরোলজিস্ট’ বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আধুনিক ও বিশ্বমানের চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

যে কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য, অ্যাপোলোতে যোগাযোগ করুন:

জরুরি নং: ১০৬৬

হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৪৪২০২১২২

ই-মেইল আইডি: infokolkata@apollohospitals.com

এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

অন্য বিষয়গুলি:

Nervous System Neurology Dr. Manoj Kr. Mahata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy