ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস
একুশ শতকে প্রতিটা জিনিসের সঙ্গেই জড়িয়ে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং গবেষণা। মাউসের ক্লিকে কার্যসিদ্ধি থেকে গগনচুুম্বী বহুতলের সদর্প উপস্থিতি— যা কিছু করুন, যেখানেই থাকুন, এখনকার জীবনযাপন এই তিনটে স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে। প্রযুক্তিবিদ্যা বা ইঞ্জিনিয়ারিং হল এমন একটা বিষয় যা, এই তিনটে ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। কারিগরি বিচারবুদ্ধির সঙ্গে সৃজনশীল ভাবনা এবং তলিয়ে ভাবার ক্ষমতা– ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই তিনটে বিষয়ই জরুরি। প্রযুক্তিবিদ্যা ভাবনায় আকার দিতে শেখায় এবং এক উন্নত দেশের ভিত গড়ে দেয়। তাই যে সব পড়ুয়া মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে সামিল হতে চায়, তাদের একটা বড় অংশ উচ্চশিক্ষায় বেছে নেয় ইঞ্জিনিয়ারিংকেই।
ব্যাচেলর অব টেকনোলজি (বি.টেক) হল প্রযুক্তিবিদ্যার বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞানের সঙ্গে প্রয়োগিক দক্ষতার মিশেলে তৈরি স্নাতক স্তরের চার বছরের পাঠ্যক্রম। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করলে নানা ক্ষেত্রে সুবিধা-সুযোগ মেলে। প্রথমত, এতে এক জন পড়ুয়ার বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের ভিত মজবুত হয়। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয় ভাল করে বুঝতে এবং কঠিন সমস্যার সমাধানসূত্র বার করতে শেখে তারা। বি.টেকের পাঠ্যক্রমে প্রায়শই হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা কোনও বিষয়ে তলিয়ে ভাবতে এবং বিশ্লেষণ করতে শেখায়। ভারতে বর্তমানে বি.টেক-এর যে পড়াশোনা চালু রয়েছে, তা বিশ্বমানের। ফলে বি.টেক করা ছাত্রছাত্রীরা অন্যান্য বিদেশি ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা অথবা পেশাদারি ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে।
শুধু কি তাই? চার বছরের বি.টেক কোর্স দল বেঁধে কাজ করতে, নেতৃত্ব দিতে শেখায়। সেমিনার, ওয়েবিনার এবং ওয়ার্কশপের মতো বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচি কিংবা নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ব্যবস্থাপনা বা ম্যানেজমেন্টের শিক্ষা পায়। তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হয় এতে। তাত্ত্বিক জ্ঞানের বাস্তব ব্যবহার, এবং ছকভাঙা উদ্ভাবনের জন্য প্রোটোটাইপ তৈরির মধ্যে দিয়ে বি.টেক পড়ুয়ারা প্রয়োগমূলক দক্ষতায় শান দেওয়ার সুযোগ পায়। পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের নীতিবোধ তৈরিতেও সাহায্য় করে বি.টেক-এর পাঠ্যক্রম।
বি.টেক পড়তে হলে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন/ জীববিদ্যা নিয়ে পাস করা বাধ্যতামূলক। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার জন্য এর সঙ্গে JEE Main, JEE Advanced, CUET, BITSAT কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রাজ্য স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও পাস করা আবশ্যিক। বি.টেক পড়ার খরচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্পেশ্যালাইজেশনের উপর নির্ভর করে। বার্ষিক খরচ গড়ে ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কোনও কোনও নামী প্রতিষ্ঠানের কোর্স বা স্পেশ্যালাইজেশনের খরচ আরও বেশিও হতে পারে। কোর্স শেষ হওয়ার পরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তাদের স্নাতকদের প্লেসমেন্ট পেতে সাহায্য করে। বি.টেক স্নাতকদের গড় বার্ষিক বেতন সাধারণ ভাবে ৪ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। কারও কারও ক্ষেত্রে এর বেশিও হতে পারে। সবটাই নির্ভর করে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের ধরন, ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং নিয়োগকারী সংস্থার উপর। চাকরিতে যোগ দেওয়া পড়ুয়াদের পাশাপাশি বি.টেক করার পরে একাংশ উচ্চশিক্ষা বেছে নেয়। কেউ কেউ আবার ব্যবসার পথেও হাঁটে। বি.টেক ডিগ্রিধারী প্রত্যেক পড়ুয়ার বিশেষ কোনও বিষয়ে কারিগরি দক্ষতা থাকে। তাই সারা বিশ্বেই এই স্নাতকদের চাহিদা রয়েছে। বি.টেক নিয়ে পড়লে নানা উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং পেশাদারি উন্নতির দরজা খুলে যায়। প্রযুক্তিক্ষেত্রে অগ্রগতির মাধ্যমে আগামীর সভ্যতা গড়ায় সামিল হওয়ার সুযোগও মেলে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কাজের পরিসর নিয়মিত বাড়ছে ইদানীং। এর ফলে আকর্ষণীয় কেরিয়ার তৈরির সম্ভাবনা এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তাই ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস ( MAKAUT-এর আওতাভুক্ত এবং AICTE ও COA অনুমোদিত কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার) অসাধারণ পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা সহ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত। বি.টেক ডিগ্রির জন্য এখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চারটে ‘কোর’ বিষয় (Civil, Computer Science, Electrical and Mechanical) পড়ানো হয়। এই কলেজে অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর ল্যাবরেটরি রয়েছে, উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদাররা যার দেখভাল করেন। ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানলাভের পাশাপাশি হাতে কলমে শেখার সুযোগ পায়। এখানকার পঠনপাঠনে কোনও ফাঁক রাখা হয় না। ছাত্রছাত্রীদের পরিপূর্ণ শিক্ষা ও পেশাদারি উন্নতিতে জোর দেয় এই প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিবেদনটি 'ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস'এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy