E-Paper

তথ্যের উপর নির্ভরতার ফল কর্মসংস্থান না ছাঁটাই? দ্বন্দ্ব ভারতের প্রযুক্তি-দক্ষতা ঘিরে

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তারই এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে, যা বলছে-- ২০২৩ অর্থবর্ষের (FY23) কর্মী নিয়োগের সংখ্যা ছিল ২৩০,০০০ জন। তার নিরিখে অনেকটাই কমে ২০২৪ অর্থবর্ষে (FY24) আনুমানিক নিয়োগ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫৫,০০০ জনে।

প্র্যাক্সিস টেক স্কুল

প্র্যাক্সিস টেক স্কুল

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:২২
Share
Save

ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্র এই মুহূর্তে এক জটিল সমস্যার সম্মুখীন- এক দিকে প্রযুক্তিবিদ্যায় দক্ষতার ঘাটতি এবং একই সঙ্গে আইটি সংস্থাগুলিতে নিয়োগ কমে যাওয়া। সম্প্রতি বিষয়টি জনসমক্ষে এনে ‘টিমলিজ’ নামে এক কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষতার ঘাটতি এবং তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে নতুন কর্মী নিয়োগ কমে যাওয়া—এই জোড়া সমস্যা দ্বন্দ্বে ফেলেছে ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তারই এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে, যা বলছে-- ২০২৩ অর্থবর্ষের (FY23) কর্মী নিয়োগের সংখ্যা ছিল ২৩০,০০০ জন। তার নিরিখে অনেকটাই কমে ২০২৪ অর্থবর্ষে (FY24) আনুমানিক নিয়োগ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫৫,০০০ জনে।

স্রেফ সংখ্যার ওঠাপড়া নয়, নতুন কর্মী নিয়োগের এই হাল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক চরিত্রগত বদলের ইঙ্গিত। অটোমেশন এবং উন্নত এআই প্রযুক্তির ব্যবহার এখন অনেক বেশি সক্রিয় করে তুলেছে। দ্রুত বদলাতে থাকা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টিও এর ফলে আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। তথ্য বিজ্ঞানে দক্ষতার চাহিদা এখন তাই শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বেই বাড়ছে। এ বিষয়ে আরও পরিসংখ্যান এবং দৃষ্টিভঙ্গী যাচাই করে এই পরিস্থিতিকে আরও ভাল করে বুঝে নেওয়া যাক।

আন্তর্জাতিক এবং ভারতীয় প্রেক্ষিত:

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ‘ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট ২০২৩’ বিশ্বব্যাপী কাজের বাজারের প্রবণতা এবং তার ক্রমপরিবর্তনশীল চরিত্র সম্পর্কে এক বিশদ ধারণা স্পষ্ট করেছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিকে তুলে ধরে এই রিপোর্ট জানাচ্ছে, আগামী পাঁচ বছরে ৮৫ শতাংশেরও বেশি সংস্থা পরবর্তী এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে কর্মদক্ষতা তৈরিতে নতুন প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করবে।

ভারতে তথ্য বিজ্ঞানীদের চাহিদা: আইবিএম-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সালের মধ্যে তথ্য বিজ্ঞানীদের চাহিদা ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাতেই স্পষ্ট, ভারতের মতো প্রযুক্তি-নির্ভর দেশে তথ্য বিজ্ঞানের পরিসর ক্রমশ বাড়ছে।

তথ্য প্রযুক্তিগত দক্ষতায় ঘাটতির কারণ:

শিক্ষাগত পরিকাঠামো বনাম শিল্পের বৃদ্ধি: ব্যবসা ক্ষেত্রে তথ্য সৃষ্টি ও ব্যবহার এবং তথ্য-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষ কার্যক্রমের চেয়ে অনেক দ্রুত হারে বাড়ছে।

উদীয়মান প্রযুক্তিতে দক্ষতার ঘাটতি: প্রযুক্তি বিদ্যায় তথ্য বিজ্ঞান এক ক্রমপরিবর্তনশীল ক্ষেত্র, যেখানে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন টুল এবং প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটছে। এই দ্রুত বদলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া পেশাদারদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যা দক্ষতার ঘাটতি তৈরি করে দিচ্ছে।

ব্যবহারিক সুযোগের সীমাবদ্ধতা: তথ্য বিজ্ঞানের কোর্স তাত্ত্বিক ভাবে অনেকটাই পোক্ত করে তোলে। কিন্তু সেই তাত্ত্বিক জ্ঞান বাস্তব জগতের তথ্য এবং সমস্যার ক্ষেত্রে প্রয়োগে ততটা কাজে লাগে না।

ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব: শিক্ষা, প্রযুক্তি স্থানান্তর, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত নীতির মতো ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলি তথ্য বিজ্ঞানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণমানে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

দক্ষতার ঘাটতি পূরণ:

বিভিন্ন সংস্থার তরফে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে জ্ঞানের আদান-প্রদান দক্ষতা তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাহায্য করতে পারে। ইদানীং অতীত বিশ্লেষণের বদলে প্রবণতা চিনে নিয়ে সেই পথে তথ্য ব্যবহার করে সক্রিয় হয়ে ওঠাতেই আস্থা রাখছে ব্যবসা ক্ষেত্র। ফলে তথ্য বিজ্ঞানীরা অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে চিহ্নিত দৃষ্টিভঙ্গীর উপর ভিত্তি করে সেই পথে ব্যবসাকে চালিত করা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন।

বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এখন তথ্য বিজ্ঞানের কোর্স পড়ানো হয়। প্র্যাক্সিস টেক স্কুলের কলকাতা ও বেঙ্গালুরু ক্যাম্পাস এখন এ ক্ষেত্রে ভারতে এক নম্বর। তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষায় দিশারী এই প্রতিষ্ঠান গত দশ বছরে এক ঈর্ষণীয় মর্যাদা অর্জন করেছে তাদের তথ্য বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর কোর্সের হাত ধরে। ন’মাসের এই ফুল টাইম কোর্সের অন্তর্ভুক্ত জেনারেটিভ এআই এবং মেশিন লার্নিং। যা শিল্পক্ষেত্রের সহযোগী সংস্থাগুলির দেওয়া রিয়েলটাইম তথ্যে সমৃদ্ধ। তথ্য বিজ্ঞান ক্ষেত্রের সাম্প্রতিক গবেষণার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই কোর্স প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ও টুল-সহ সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ জারি রাখে। কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে এই পিজিপিডিএস প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ রয়েছে। বিশদে জানতে দেখুন www.praxistech.school

ম্যানেজার পদে কর্মরতদের তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে অ্যানালেটিকস বোঝা ও ব্যবহার শেখাতে কর্পোরেট ট্রেনিং কর্মশালারও আয়োজন করে প্র্যাক্সিস স্কুল।

তথ্য বিজ্ঞানে দক্ষতার অভাব একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও এটি ভারতকে উদীয়মান প্রযুক্তির উপর জোর দেওয়া, দক্ষতা বাড়াতে উৎসাহ দান এবং বিশ্ব প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রণী হিসেবে নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করার সুযোগ করে দেয়। প্র্যাক্সিস টেক স্কুল এই পরিবর্তনের জায়গাটি দ্রুত শনাক্ত করতে পেরেছিল। ফলে দক্ষতার ঘাটতি পূরণে নিজেদের প্রোগ্রামগুলিকে যথাযথ ভাবে সাজিয়ে ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি করে দিচ্ছে তারা।

এই প্রতিবেদনটি ‘প্র্যাক্সিস টেক স্কুল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।



Tech school Technology

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।