টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন
২০০৫ সালে পথচলা শুরু। টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তখন থেকেই ভবিষ্যতের প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাত্ত্বিক জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ, অত্যাধুনিক গবেষণা, এবং ইন্ডাস্ট্রির উপযোগী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে এই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বৈদ্যুতিক শিক্ষায় উৎকর্ষের কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রথাগত ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যার পাঠক্রম ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত কিছু যুগোপযোগী বিষয়ও এখানে পড়ানো হয়। তালিকায় আছে আইওটি (IoT), এআই (AI) এবং ডিবিএমএস (DBMS)। এই কলেজে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার ডিগ্রি করারও সুযোগ রয়েছে। ৪ বছরের পাঠক্রমের বিন্যাস এমন ভাবেই করা হয়েছে, যাতে মূল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়াও গণিত, পদার্থবিদ্যা, মৌলিক অর্থনীতি, প্রকল্প পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীরা পারদর্শী হয়ে ওঠে।
টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটারিগুলোর অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণে সাহায্য করে। অভিজ্ঞ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং দক্ষ কারিগরি সহকারীরা পড়ুয়াদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এই বিভাগের প্রধান লক্ষ্য– শিক্ষার্থীরা সফল ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যেন অর্জিত তাত্ত্বিক মেধা ও ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োগ করে বাস্তব-জগতের সমস্যাগুলোর সমাধানসূত্র বার করতে পারে। এ বিষয়ে এখানকার পড়ুয়াদের সাহায্য করতে বছরভর সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং ইন্ডাস্ট্রি ভিজিটের আয়োজন করা হয়। এই বিভাগের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে সম্পর্ক রেখে চলা। তার সূত্র ধরে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই ইন্টার্নশিপ, শিল্প প্রশিক্ষণ, এবং প্লেসমেন্টের সুযোগ পায়।
৪ বছরের পাঠক্রম শেষে এক জন যোগ্য ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বহুমুখী সুযোগ পেতে পারে। বিদ্যুৎ প্রণালী, টেলিযোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স, রোবোটিক্স, অটোমোটিভ, বিমান পরিবহণ, রিনিউয়েবল এনার্জি-সহ বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে কাজ করার যোগ্যতা তার যেমন থাকে, তেমনই থাকে ইলেকট্রিক গাড়ি এবং বৈদ্যুতিন পরিবহণ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ। এই বিভাগের সফল ছাত্রছাত্রীরা চাকরি পায় বিএআরসি (BARC), পিডব্লিউডি (PWD), ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL), হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস, ভারতীয় রেল, এজিএল (AGL), ভালটেক, বোয়িং, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো, এলজি (LG), জনসন লিমিটেড, বিসিজি (BCG), কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (KEC International Ltd), টিটাগড় ওয়াগন (Titagarh Wagons)-এর মতো কোর কোম্পানিতে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়-নির্ধারিত পাঠক্রমের অতিরিক্ত পঠনপাঠনের মাধ্যমে পড়ুয়ারা তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত বহুজাতিক সংস্থাগুলোতে নিয়োগের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। টিসিএস (TCS), সিটিএস (Cognizant), ক্যাপজেমিনি (Capgemini), অ্যামাজন (Amazon), উইপ্রো (Wipro)-তেও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। উচ্চশিক্ষায় উৎসাহী শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আইআইটি (IIT), এনআইটি (NIT), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, শিবপুর আইআইইএসটির (IIEST)-র মতো প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করে।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের যুগোপযোগী পঠনপাঠন এই বিভাগের মূলধন। তার জোরেই রিনিউয়েবল এনার্জি, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত গবেষণা-প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে তাদের বিশ্লেষণমূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে আর প্রয়োগমূলক দক্ষতাও বাড়ে।
এ সবের পাশাপাশি কলেজের বিভিন্ন ক্লাবগুলোতে যুক্ত থেকে পড়ুয়ারা সংস্কৃতির আদানপ্রদান বা শরীরচর্চা করতে পারে, যা তাদের মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি। ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে এই কলেজে সারা বছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিল্পের উপযোগী, বহুমুখী দক্ষতাসম্পন্ন দায়িত্বশীল সুনাগরিক তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।
এই প্রতিবেদনটি 'টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন'এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy