স্নায়ুবিদ্যা কী?
কোভিড পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ শারীরিক সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে স্নায়বিক জটিলতার মুখোমুখি হয়েছেন। যে সমস্যাগুলি মূলধারার সমস্যা থেকে আলাদা। ফলে বহু মানুষই স্নায়ু রোগ ও রোগের ওষুধ সম্পর্কে ততটা অবগত নন। আর সেই কারণেই প্রথমেই যে প্রশ্নটি উঠে আসে তা হল নিউরোলজি বা স্নায়ুবিদ্যা কী? কোন কোন সমস্যাকে এই রোগের আওতায় ফেলা যায়? যে ব্যক্তিরা এই রোগে ভুগছেন, তাঁদের জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে? এই রোগ কতটা সহজ বা জটিল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়েই হাজির আমরি হাসপাতাল সল্টলেকের কনসালটেন্ট, নিউরোলজিস্ট চিকিৎসক প্রসূন সিংহ।
চলুন, প্রথম প্রশ্নটি নিয়েই আলোচনা করা যাক — নিউরোলজি কী? নিউরোলজি হল চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি বৃহৎ ক্ষেত্র যা মানবদেহের নির্দিষ্ট স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্রের অবস্থা এবং স্নায়বিক ব্যাধি নিয়ে পর্যালোচনা করে। চিকিৎসক প্রসূন এই প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, যে সাধারণ সমস্যাগুলির জন্য একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত তা হল ক্রমাগত মাইগ্রেন, খিঁচুনি, পক্ষাঘাত বা শরীরের বিভিন্ন অংশে অসাড়তা, ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে গোটা শরীর জুড়ে অবিরাম ব্যথা হতে থাকে যা শরীরের এক অংশ থেকে অন্য অংশে স্থানান্তরিত হয়; যেমন, নিতম্ব থেকে পা বা কাঁধ থেকে হাতের পেশি ইত্যাদি। ক্রমাগত এমন সমস্যা হতে থাকলে অবশ্যই স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা ছাড়া হঠাৎ কাঁপুনি, হাত বা শরীরের অন্যান্য অংশের অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি, অসংযমতা, হাঁটার সমস্যা ইত্যাদিও স্নায়বিক রোগের কারণে হতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রের সমস্যাই যদি স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণেই সৃষ্টি হয়, তা হলে নিউরোলজির আওতায় পড়ে।
করোনা পরবর্তী সময়ে রোগীদের মধ্যে খানিকটা হলেও স্নায়বিক সমস্যার প্রকোপ বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছেন চিকিৎসকেরা। এ কথা মেনে নিয়েছেন খোদ চিকিৎসকও। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে বহু রোগীদের মধ্যে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, কোভিড-পরবর্তী বিষন্নতা, শক্তির অভাব, ব্রেইন ফগ, ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকের মতে, এই সমস্যাগুলি কিন্তু কোনওভাবেই ভাইরাল সংক্রমণ বা হঠাৎ করে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নয়। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসকেরা রোগীদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়ে দেন।
কী কী ভাবে চিকিৎসা হয় এই রোগের? উত্তরে চিকিৎসক জানাচ্ছেন, স্নায়ুরোগের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। অবশ্যই রোগী বিশেষে চিকিৎসার ধরন বদলে যায়। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আধুনিক ওষুধ যেমন, বোটক্স ইঞ্জেকশন স্নায়ুজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ফলাফল দেখিয়েছে। বিশেষত, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের সময় মতো হস্তক্ষেপ রোগীদের সার্বিকভাবে দ্রুত সারিয়ে তুলেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই স্নায়ুজনিত সমস্যার গুরুতর লক্ষণ না থাকলে, বহু রোগী তা এড়িয়ে যান। অথচ প্রাথমিক পর্যায় থেকে চিকিৎসা না করলে, এটি পরবর্তী সময়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতএব আপনি বা আপনার পরিচিত কোনও ব্যক্তি যদি এমন কোনও উপসর্গে ভোগেন তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ স্নায়বিক রোগের সমস্যার প্রধান সমাধান হল সময় মতো রোগ সনাক্তকরণ এবং দ্রুত চিকিৎসা। বিগত কয়েক দশক ধরে আমরি হাসপাতালের পেশাদার, দক্ষ, ও স্বনামধন্য স্নায়ুরোগ চিকিৎসকেরা সমস্ত সমস্যায় আপনার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
এই প্রতিবেদনটি ‘আমরি হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy