প্রতীকী ছবি।
জীবনে ধনশালী হতে গেলে, সম্পদ বৃদ্ধি করতে গেলে সঠিক পরিকল্পনা, রাইট প্ল্যান ভীষণ প্রয়োজন। একসময়ে ভালো রোজগার করা সত্ত্বেও কেন অর্থ ধরে রাখতে পারেননি, বা কেন সম্পদহানি হচ্ছে.... কোন ভুল পদক্ষেপ আমাদের ঋণগ্রস্ত করে তুলতে পারে গত পর্বে সে বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছিলাম। আজকের পর্বে আপনাদের জানাবো আরও কিছু সূত্র.....
কোথায় বাজে খরচ হচ্ছে?
🔷পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য অতিরিক্ত খরচ
🔷অপরাধমূলক কাজে খরচ
🔷বাহবা পাওয়ার জন্য খরচ
🔷কোনও অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা বা সুদ আদায়ের চিন্তা করে আপনার সহযোগী, বন্ধু-বান্ধব, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছেন
🔷ভুল ব্যবসা, অন্যায্য পথে অতিরিক্ত খরচ
🔷প্রেমের সম্পর্কে, প্রেমিক/প্রেমিকার জন্য বা সাধ্যের অধিক খরচ করেছেন
🔷অনেক সময় প্রয়োজন নেই কিন্তু বড় বাড়ি, দামী আসবাবপত্র, দামী গাড়ি, লাক্সারি জীবন যাপনের জন্য খরচ
🔷যারা বড় আর্থিক বিপদে পড়েন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, লোক দেখানোর জন্য বড় বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে তারা বিপদ ডেকে এসেছেন
🔷পাড়া-প্রতিবেশী, ক্লাব বা কোনও পার্টি ফান্ডে বেশী দান করেছেন
কেন এরূপ হয়?
🔷প্রচুর গর্ব অথবা অহঙ্কার করেন
🔷এমন কোনও কাজ/ব্যবসা করেন যাতে অন্যের হায় (বদ-দুয়া) লাগে
🔷কিছু কটু কথা/ব্যবহার/কপট নীতি একাধিক বার প্রয়োগ করেছেন
🔷কাউকে কথা দিয়ে কথা রাখেননি বা প্রচুর ঘোরাচ্ছেন বা নাজেহাল করছেন
🔷আপনার পূর্বপুরুষ কেউ হয়তো কোনও অনৈতিক/অন্যায্য কাজ করেছেন 🔷 কাজ করিয়ে প্রাপ্য অর্থ দেননি
🔷জ্ঞানী ব্যক্তি, গুরুস্থানীয় কেউ, পুরোহিত মশাই, মন্দিরের পূজারী/সেবাইতকে সুযোগ পেয়ে অপমান বা বিদ্রুপ করেছেন
🔷গরীব, ভিক্ষাজীবী, মানসিক ভারসাম্যহীন কাউকে নিয়ে মস্করা করেছেন
🔷কারো থেকে অর্থ কেড়ে নিয়েছেন, ভুল/মিথ্যা বদনাম দিয়েছেন
🔷প্রতারণা করেছেন, খেলো আচরণ করেছেন
🔷জাগ্রত দেবী/দেবতাকে নিয়ে ভুল ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন
🔷ক্ষমতার জোরে কাউকে অপমান করেছেন
🔷চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, এজেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিকে তাদের প্রাপ্য ন্যায্য পারিশ্রমিক/সাম্মানিক দেননি
🔷অতিরিক্ত রাগ, জিনিসপত্র, মোবাইল, গয়না ইত্যাদি প্রায়ই ভেঙে ফেলেছেন
মনে অত্যন্ত কুভাব, সারাক্ষণ প্যাঁচ কষে চলেছেন, অন্যের অনিষ্ট চিন্তা.... কিন্তু আচার-আচরণ-ব্যবহারে প্রচুর মিষ্টতা, বেশিরভাগ সময়ই চালাকি করে চলেছেন। পরমপ্রভু-পরমেশ্বর এসব নাটক বেশীদিন সহ্য করেন না, শাস্তি পেতেই হয়। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, বারংবার এই জাতীয় ভুল আচরণ বা প্রবৃত্তির ৯ বছরের মধ্যেই সাধারণত সাজা নেমে আসে, এবং কোনও ব্যক্তির জন্মছকের তৃতীয়, ষষ্ঠ এবং দশম গৃহে যদি কোনও গ্রহ রাহু অথবা কেতুর সঙ্গে বসে থাকে, তবে সেই গ্রহের দশা বা অন্তর্দশা চলাকালীন এইসমস্ত ঘটনা ঘটে। ধনহানি, সম্পদহানি, নানান ঝামেলা-অশান্তি ভোগ করতে হয়।
গত পর্বে আপনাদের জানিয়েছিলাম, রাশিচক্রে বৃহস্পতি, বুধ, সূর্য এবং মঙ্গল দুর্বল হলে সাধারণত এরূপ ঘটে। ইংরেজি মাসের ৩, ১২, ২১ বা ৩০ তারিখে যাদের জন্ম তাদের বৃহস্পতি যদি দুর্বল বা পীড়িত হয়, অশুভ গ্রহের সঙ্গে বা অশুভ নক্ষত্রে বসে থাকে বা ইংরেজি মাসের ৫, ১৪ এবং ২৩ তারিখের জাতক-জাতিকাদের জন্মছকে বুধের অবস্থান অশুভ হলে এমনটা হয়। একইভাবে ১, ১০, ১৯ এবং ২৮ তারিখের জাতক-জাতিকাদের জন্মছকে সূর্যের অবস্থান অশুভ হলে নানান অশান্তি/ঝঞ্ঝাট/ঝামেলার সম্মুখিন হতে হয়। ৯, ১৮ বা ২৭ তারিখে যাদের জন্ম, তাদের মঙ্গল পীড়িত হলে, জীবনে প্রচুর অর্থ রোজগার করলেও কোনওভাবে ট্র্যাপে জড়িয়ে যাওয়া বা আইনি সমস্যায় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এক্ষেত্রে বাস্তুর প্রভাবও অনস্বীকার্য। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্বে, জলের কল, রিজার্ভার, ওভারহেড ট্যাঙ্ক, কুয়ো, চৌবাচ্চা, নিকাশি নালা থাকলে বা উত্তর-পূর্বে রান্নাঘর-ইলেকট্রিক মিটারবক্স বা সেপটিক ট্যাঙ্ক থাকলে, বাস্তুর উত্তর-পশ্চিম অংশে সেপটিক ট্যাঙ্ক বা বারান্দা বা কাটিং অথবা এক্সটেনশন থাকলে এই জাতীয় ঘটনা ঘটে।
জীবনে এমন সময় এলে, নিজেকে প্রশান্ত রেখে একান্ত মনে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং জ্যোতিষীয়-বাস্তু প্রতিকারের মাধ্যমে অনেকাংশেই উপকার পাওয়া যায়। Symbol Meditation-ও (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে। Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy