চন্দ্র সরাসরি আমাদের মনের সঙ্গে সম্পর্কিত
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতি, মন-মানসিকতা-মেজাজ, গভীরতম প্রবৃত্তি, অভিপ্রায়... এগুলি নিয়ন্ত্রণ করে চন্দ্র। চন্দ্র সরাসরি আমাদের মনের সঙ্গে সম্পর্কিত, ফলতঃ আধ্যাত্মিক এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা প্রত্যেকেই চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেক চান্দ্রমাসে (পূর্ণিমা থেকে পরবর্তী পূর্ণিমা পর্যন্ত) চন্দ্রের ৩০টি পর্যায়ের প্রতিটিতেই জোয়ার-ভাঁটা সহ আমাদের নানাবিধ মানসিক প্রতিক্রিয়া এবং সম্পর্ককে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করে চন্দ্র। এই ৩০টি পর্যায়কে আমরা “তিথি” বলে চিহ্নিত করি (প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া...ইত্যাদি)। সূর্য এবং চন্দ্রের মধ্যেকার কৌণিক দূরত্ব যখন (৩৪৮°-৩৬০°)- মধ্যে হয়, তখন হয় অমাবস্যা, অন্যদিকে চন্দ্র যখন সূর্যের বিপরীতে, অর্থাৎ (১৬৮°-১৮০°)-র কাছাকাছি অবস্থান করে, তখন পূর্ণিমা। অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার মধ্যেকার এই প্রায় ১৮০° কৌণিক দূরত্বের প্রতি ১২°-র কাছাকাছি এক একটি তিথি পরিবর্তিত হয়। যেমন, সূর্য থেকে চন্দ্রের কৌণিক দূরত্ব (০°-১২°)-র মধ্যে হলে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ, (১২°-২৪°)-র মধ্যে হলে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া, (২৪°-৩৬°)-র মধ্যে হলে শুক্লপক্ষের তৃতীয়া... আবার সূর্য থেকে চন্দ্রের কৌণিক দূরত্ব (১৮০°-১৯২°)-র মধ্যে হলে কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ, (১৯২°-২০৪°)-র মধ্যে হলে কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া, (২০৪°-২১৬°)-র মধ্যে হলে কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া.... এভাবে মোট ৩০টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে, প্রত্যেকটি পর্যায় হল এক একটি তিথি। তিথিগুলিকেও আবার দু-টি পক্ষে ভাগ করা হয়, শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ। অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত শুক্লপক্ষ, আবার পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত কৃষ্ণপক্ষ।
অর্থাৎ এক-একটি পক্ষে (শুক্ল এবং কৃষ্ণ) ১৫টি তিথি থাকে। ১৫টি তিথিকে আবার ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। সে বিষয়ের আলোচনায় পরে আসছি, তার আগে জানিয়ে রাখি, জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গণনা মতে, তিথি দিনের যে কোনও সময় শুরু হতে পারে, এবং ১৯ ঘন্টা থেকে ২৬ ঘন্টার কাছাকাছি সময়ে পরিবর্তিত হয়। অনেকেই হয়ত জানেন, মুহূর্ত গণনার বিশেষবিধিও রয়েছে সনাতন জ্যোতিষশাস্ত্রে, যেখানে- তিথি, যোগ, নক্ষত্র, বার ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতি ৪৮ মিনিটে এক-একটি মুহূর্ত হয়, এবং মুহূর্তগুলিকে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে বা গুণাবলীতে পরিগণিত করা হয় (তিথি, যোগ, নক্ষত্র, বার ইত্যাদি)। কবে কোনও বিশেষ কাজ শুরু করবো বা কোনও শুভকাজ করার জন্য আমরা কোন দিনটিকে বেছে নেব, এই দৈনন্দিন “শুভত্ব” বাছাইপর্বে... তিথি, যোগ, নক্ষত্র, মুহূর্ত প্রত্যেকটিই গণনা করা হয়। শুভাশুভ বিচার করেই, নির্ধারণ করা হয় নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ। সনাতন শাস্ত্র আগেই জানিয়ে রেখেছে, কোন তিথি “শুভ”, কোনগুলি “অশুভ”।
আজকের পর্বে, আমি “অশুভ” তিথিগুলি সম্পর্কে আলোচনা করব যাতে সমস্ত পাঠক এই আলোচনার বিষয়বস্তু থেকে জীবনে কিছু উপকার পেতে পারেন। শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষের তিথিগুলিকে (১৫ + ১৫ = ৩০টি তিথি) ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়, একথা আগেই উল্লেখ করেছি। ভাগগুলি হল যথাক্রমে- নন্দা, ভদ্রা, জয়া, রিক্তা এবং পূর্ণা।
নন্দা = প্রতিপদ, ষষ্ঠী এবং একাদশী তিথি (1st, 6th, 11th)
ভদ্রা = দ্বিতীয়া, সপ্তমী এবং দ্বাদশী তিথি (2nd, 7th, 12th)
জয়া = তৃতীয়া, অষ্টমী এবং ত্রয়োদশী তিথি (3rd, 8th, 13th)
রিক্তা = চতুর্থী, নবমী এবং চতুর্দশী তিথি (4th, 9th, 14th)
পূর্ণা = পঞ্চমী, দশমী এবং পূর্ণিমা তিথি (5th,10th, Purnima)
'আকাশস্যাধিপো বিষ্ণুরগ্নেশ্চৈব মহেশ্বরী। বায়োঃ সূর্যঃ ক্ষিতেরীশো জীবনস্য গণাধিপঃ।।'
ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ এবং ব্যোম, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে তথা আমাদের দেহে এবং বাস্তুতে যে পঞ্চতত্ত্বের অবস্থান, স্বভাবতই সেই পঞ্চতত্ত্বের চন্দ্রের পর্যায় তথা তিথিগুলিতেও বিদ্যমান
ভদ্রা তিথি (দ্বিতীয়া, সপ্তমী, দ্বাদশী) ক্ষিতিতত্ত্ব(পৃথ্বী) দ্বারা প্রভাবিত, রিক্তা তিথিতে (চতুর্থী, নবমী, চতুর্দশী) প্রভাব বিস্তার করে জলতত্ত্ব(অপ), নন্দা তিথি (প্রতিপদ, ষষ্ঠী, একাদশী) তেজতত্ত্ব(অগ্নি) দ্বারা প্রভাবিত, মরুৎতত্ত্বের(বায়ু) প্রভাব লক্ষ্য করা যায় পূর্ণা তিথিতে (পঞ্চমী, দশমী, পূর্ণিমা) অন্যদিকে জয়া তিথি (তৃতীয়া, অষ্টমী, ত্রয়োদশী) ব্যোমতত্ত্ব(আকাশ) দ্বারা প্রভাবিত।
কীভাবে বুঝবেন.... কোন তিথি চলাকালীন, কোন সময়ে কোনও কাজের সূচনা করা উচিত বা শুভ কাজ করা উচিত? জানিয়ে রাখি, নন্দা(প্রতিপদ, ষষ্ঠী, একাদশী) এবং পূর্ণা(পঞ্চমী, দশমী, পূর্ণিমা) তিথি শুরুর ২৪ মিনিট এবং শেষ হওয়ার আগের ২৪ মিনিট-কে অশুভ বলে মনে করা হয়। যে কোনও মাঙ্গলিক কাজ যেমন গৃহপ্রবেশ বা বিবাহ সংক্রান্ত কোনও কাজ, বিয়ের পাকা কথা বলা বা কথা শুরু করা, কোথাও বিনিয়োগ করা, কোনও পেশাদারি ক্ষেত্রে শিক্ষালাভের সূচনা, মোবাইল-ল্যাপটপ, অলংকার বা দামি কোনও দ্রব্য কেনা, নতুন ব্যবসার সূচনা প্রভৃতি যাবতীয় শুভ কাজ করার জন্য রিক্তা (চতুর্থী, নবমী, চতুর্দশী) তিথি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত এবং বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ভদ্রা (দ্বিতীয়া, সপ্তমী, দ্বাদশী) তিথি শুভ নয়। তবে এগুলি general information.
পূর্ণাঙ্গ দৈনন্দিন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একাধিক জ্যোতিষীয় সূত্র রয়েছে, যার সাহায্যে প্রত্যেকদিনের শুভাশুভ গণনা করা যায় এবং দুর্ভাগ্য হ্রাস করে, সৌভাগ্যকে আকর্ষণ করা যায়। অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে আপনিও সহজেই এই গণনা শিখতে পারেন ASTRAL DAILY PLANNING COURSE-এর মাধ্যমে। এটি অনলাইন কোর্স (মোবাইল-মোবাইল) পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে আপনি এই কোর্স শিখতে পারেন। Daily planning অর্থাৎ, দিনের কোন সময়ে জরুরি মিটিং করবেন, কখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, কখন সংযত আচরণ করলে ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট এড়াতে পারবেন... আপনি নিজেই এই গণনা শিখতে পারবেন।
ASTRAL DAILY PLANNING COURSE এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy