‘সিআইইএম’
টালিগঞ্জের ‘ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ (CIEM), সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। দুই দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে। ২০০৩ সালে সবুজে ঘেরা সাড়ে পাঁচ একরের ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠে তুলনামূলক কম খরচ অথচ গুণমানে উন্নত শিক্ষাপ্রদানের এই প্রতিষ্ঠানটি।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী এবং জননেতা প্রশান্ত শূরের নেতৃত্বে এই কলেজ তার শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এআই-এমএল, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এই প্রতিষ্ঠান চার বছরের বি-টেক ডিগ্রি প্রদান করে। প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় স্নাতকোত্তর শিক্ষার ব্যবস্থা এখানে আছে। এখানে এমবিএ পড়ানো হয় শিল্পজগতের চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা। এই কলেজ ম্যাকাউটের (পূর্বে WBUT) অধীনে এআইসিটিই অনুমোদিত, এনএএসি (NAC) দ্বারা স্বীকৃত।
২০২২ সাল থেকে এই ক্যাম্পাসেই ‘ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ (CISM) নামে একটি পৃথক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা বিভিন্ন অত্যাধুনিক পাঠ্যক্রমে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করে, যেমন - বিসিএ, বিবিএ, বিবিএ (বিজনেস অ্যানালিটিকস), বিএসসি (ডেটা সায়েন্স) এবং মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রযুক্তি (বিএমএলটি)।
এই প্রতিষ্ঠানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এখানকার অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টি। অধ্যাপকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুধু যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন তা নয়, বরং ব্যক্তিগত পরামর্শ দেওয়া থেকে শুরু করে নেতৃত্বদানের প্রশিক্ষণ অর্থাৎ ছাত্রদের সামগ্রিক বিকাশে অধ্যাপকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
‘সিআইইএম’-এর প্রাক্তনীরা সাফল্যের সঙ্গে বিশ্বের নানা ক্ষেত্রে জায়গা করে নিয়েছেন। গ্লোবাল কনসালট্যান্সি ফার্মের ডিরেক্টর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এখানকার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্য বিশ্বব্যাপী। এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। যেমন, ‘অ্যামাজন’, ‘আইবিএম’, ‘লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো’, ‘জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস’, ‘বিক্রম সোলার’, ‘আদানি গ্রুপ’ প্রভৃতি। আবার ‘আইবিএম’ সহ প্রতিষ্ঠিত বহুজাগতিক সংস্থায় গবেষণাতেও নিযুক্ত আছেন এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও আছেন প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলো (PMRF) প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান।
আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে বহুমুখী পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম নিয়েও চর্চা করায়। প্রতিষ্ঠানটিতে সক্রিয় এনসিসি এবং এনএসএস ইউনিট রয়েছে যা জাতির সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সাংস্কৃতিক ক্লাব, ড্রামা ক্লাব, মিউজিক ক্লাব, রোবোটিক্স ক্লাবের মতো বেশ কয়েকটি ক্লাব ছাত্রদের দ্বারা গঠিত হয়েছে। শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই ক্লাবগুলি ছাত্রদের নেতৃত্বদানের ক্ষমতাসহ সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এখানকার ছাত্ররা তাই নিয়মিতভাবে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতা যেমন হ্যাকাথন, রোবোটিক্স সহ খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করে। এই কলেজেরই ছাত্র মিত্রাভ গুহ দাবায় ‘গ্র্যান্ড মাস্টার’ খেতাব অর্জন করে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে।
এই প্রতিষ্ঠান শিল্পোদ্যোগী গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সক্রিয়। বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ গ্রুপকে প্রতিষ্ঠিত করার দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইনোভেশন ল্যাবরেটরি এই প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। সর্বোপরি, ‘সিআইইএম’ হল একটি ছাত্রকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান, যা বিশ্বাস করে যে শিক্ষার্থীরা এমন এক সম্পদ, যা আগামীর দিশারী হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
এই প্রতিবেদনটি ‘ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy