মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি
গত ২৩ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে কারিগরি শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং গবেষণা ও উন্নয়নে উৎকর্ষের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ইন্টারনাল হ্যাকাথন। দেশব্যাপী উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২৩ (SIH-23)’-এর জন্য এই হ্যাকাথনের আয়োজন। মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ইনস্টিটিউশন ইনোভেশন কাউন্সিল (IIC-MSIT) এবং ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স সেল (IQAC) যৌথ ভাবে এই ইভেন্টের আয়োজন করে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই মেগা উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা দারুণ ভাবে সফল। ৮০টি দল এবং ৪৮০ জন পড়ুয়া এতে অংশ গ্রহণ করে। সঙ্গে ছিলেন শিল্প সংস্থা এবং শিক্ষা ও গবেষণা জগতের ৪৫ জন ফ্যাকাল্টি মেন্টর এবং ৯ জন বিশিষ্ট জুরি। এই ইভেন্ট থেকে বাছাই হওয়া দলগুলো শিক্ষা মন্ত্রক, AICTE-র ইনোভেশন সেল আয়োজিত এসআইএইচ-২০২৩-এ অংশগ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর এনআইটি-র প্রাক্তন অধিকর্তা ও বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজা রামান্না চেয়ার প্রফেসর, অধ্যাপক অনুপম বসু। উদ্বোধনী অধিবেশনে তাঁর বক্তৃতা সবাইকে সমৃদ্ধ করে।
মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রিন্সিপাল, অধ্যাপক তীর্থঙ্কর দত্ত বলেন, “উদ্ভাবন ও গবেষণা ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে। স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ইত্যাদির মতো জাতীয় পর্যায়ের ইভেন্টে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাধিক পুরস্কার জিতেছে।”
প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি জানান যে, দু’টি দল এসআইএইচ-২০২২-র গ্র্যান্ড ফিনালের বিজয়ী ছিল। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ২০১৫ সালের টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস চ্যালেঞ্জে রানার্স-আপ হিসেবে ৫০০০ মার্কিন ডলার জিতেছিল। এ ছাড়াও আমাদের পড়ুয়ারা অন্যান্য বারও এসআইএইচ-এ নানা পুরস্কার জিতেছে।”
IIC-MSIT-র সভাপতি এবং ইন্টারনাল হ্যাকাথন, এসআইএইচ-২০২৩-র কো-অর্ডিনেটার, অধ্যাপক, সুদীপ ডোগরা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের অভিনন্দন জানান।
ইন্টারনাল হ্যাকাথন, এসআইএইচ-২০২৩-এর SPOC, সুখেন্দু জানা সফল ভাবে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার নেপথ্যে আয়োজক কমিটির সাহায্যের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন।
এসআইএইচ-২০২৩ ইন্টারনাল হ্যাকাথনের আহ্বায়ক হিসেবে অধ্যাপক অলিভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক দেবাশিস ঘোষ এবং অন্যান্য সদস্য ও কো-অর্ডিনেটররা এসআইএইচ-২০২৩ ইন্টারনাল হ্যাকাথনকে সফল করে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টজনেরা এই ইভেন্টে জুরি হিসেবে ছিলেন:
অধ্যাপক চিররঞ্জন দত্ত, প্রাক্তন অধ্যাপক এবং NSEC ও ফিলিপস ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রধান, অধ্যাপক দেবাশিস দত্ত, ম্যাকাউট-এর সিএসই শাখার অধ্যাপক। কল্যাণ কর, সিইও - প্রেডিক্ট (Prediqt) লিমিটেড।
সুদীপ হালদার, সিটিও - জুপিটার ওয়াগনস লিমিটেড, হিনা রায়, ডেপুটি ডিরেক্টর, সি-ড্যাক (C-DAC), কলকাতা। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ECE শাখার অধ্যাপক অংশুমান সরকার।
MSIT-র সিএসই শাখার অধ্যাপক সি.কে. ভট্টাচার্য। MSIT-র পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ইউ. গঙ্গোপাধ্যায়। MSIT-র এমই শাখার অধ্যাপক টি. ভট্টাচার্য।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও এই অনুষ্ঠানের জন্য সময় বার করতে পারা/ এই প্রতিষ্ঠান বিশিষ্ট এই মানুষদের কাছে কৃতজ্ঞ। অংশগ্রহণকারী ৮০টি দলের মধ্যে ৩০টি দলকে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২৩-এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy