শিক্ষার্থীদের সফল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ‘লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি’র (এলপিইউ) জুড়ি নেই, তা আবারও প্রমাণিত হল। চলতি বছরেই, অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ফাইনাল বছরের শিক্ষার্থী এমন এক আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ পেয়েছেন যে, যেখানে তার প্যাকেজ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করেছে।
বিষ্ণু, ‘বি.টেক ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ (ইসিই)-এর ফাইনাল বছরের শিক্ষার্থী, একটি শীর্ষস্থানীয় রোবোটিক্স ও অটোমেশন কোম্পানিতে ২.৫ কোটি টাকার বিশাল প্যাকেজে চাকরি পেয়ে আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। কোনও স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীর জন্য এটি এখনও অবধি ভারতে সর্বোচ্চ প্যাকেজ, যা ‘আইআইটি’, ‘আইআইএম’ এবং ‘এনআইটি’-এর মত প্রতিষ্ঠানগুলির রেকর্ডও অতিক্রম করেছে।
বিষ্ণু ছাড়াও ‘ইসিই’ ফাইনাল বছরের শিক্ষার্থী, বেতিরেড্ডি নাগা ভামসি রেড্ডি’ও একটি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি একটি শীর্ষস্থানীয় রোবোটিক্স ও অটোমেশন কোম্পানিতে ১.০৩ কোটি টাকার প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন।
মোট ১, ৭০০-এরও বেশি ‘এলপিইউ’ শিক্ষার্থী শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানি থেকে অফার পেয়েছেন, যাদের চাকরির প্যাকেজের পরিমাণ বার্ষিক ১০ লাখ টাকা থেকে ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত। মোট ৭,৩৬১টি চাকরির অফার বিভিন্ন বি.টেক শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে, যারা ‘পালো আল্টো নেটওয়ার্কস’, ‘নিউটনিক্স’, ‘মাইক্রোসফট’, ‘সিসকো’, ‘পেপাল’ এবং ‘অ্যামাজ়ন’-এর মত খ্যাতনামা বহুজাতিক কোম্পানিতে প্লেসমেন্ট পেয়েছেন।
‘এলপিইউ’-এর স্নাতকরা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার জন্য কর্পোরেট জগতে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। ‘অ্যাকসেনচার’, ‘ক্যাপজেমিনি’ এবং ‘টিসিএস’-এর মত নামজাদা কোম্পানিগুলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে। ‘রোবোটিক্স ও অটোমেশন’, ‘ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর মতো মূল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্লেসমেন্ট হয়েছে। ‘পালো আল্টো নেটওয়ার্কস’, ‘সিলিকন ল্যাবস’, ‘ট্রাইডেন্ট গ্রুপ’, ‘নিউটনিক্স’, ‘অটোডেস্ক’ এবং ‘অ্যামাজ়ন’-এর মত প্রতিষ্ঠানগুলি এই বিভাগগুলি থেকে নিয়োগ করেছে।
বিশদে জানতে নীচের ভিডিয়োটি দেখুন:
রাজ্যসভার সদস্য ও ‘এলপিএউ’-এর আচার্য অশোক কুমার মিত্তল বলেছেন, “এলপিএউ একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্লেসমেন্ট সাফল্য তারই প্রমাণ, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা শীর্ষস্থানীয় চাকরি পাচ্ছে এবং নিয়মিতভাবে নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে। ‘এডুরেভিলিউশন’ উদ্যোগের মাধ্যমে ‘এলপিএউ’ উচ্চশিক্ষাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে, যেখানে একাডেমিক শিক্ষার সঙ্গে বাস্তব শিল্পজগতের অভিজ্ঞতাকে মেলানো হচ্ছে। এই রূপান্তরমূলক পদ্ধতি এমন দক্ষতা গড়ে তোলে, যা শিক্ষার্থীদের কেবল কর্মজীবনের সাফল্যের জন্য নয়, বরং মান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত করে। ‘এডুরেভিলিউশন’ এমন সুযোগ সৃষ্টি করছে যেখানে ছাত্রছাত্রীরা বারংবার প্লেসমেন্ট রেকর্ড ভেঙে বিশ্বের চাকরির বাজারে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হচ্ছে।”
২০২৫-এর ব্যাচের জন্য ‘এলপিইউ’-তে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে এবং আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ শীঘ্রই আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। এখানে ভর্তি হতে হলে ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা, ‘এলপিইউনেস্ট ২০২৫’ এবং সাক্ষাৎকার পর্বে উত্তীর্ণ হতে হয়।
বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://bit.ly/42AawmV
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি’র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।