চিত্র: সংগৃহীত
ডিসেম্বরের শীতে তিলোত্তমা মেতে উঠবে ‘সামার অফ ৬৯’-এর ছন্দে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে গিয়েছেন জনপ্রিয় রক তারকা ব্রায়ান অ্যাডাম্স। আজ রবিবার, ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কলকাতার ‘অ্যাকোয়াটিকা’য় তাঁর শো। এ বারের এই কলকাতা সফরের নামও জানিয়েছিলেন নিজেই— ‘সো হ্যাপি ইট হার্টস’। পৃথিবীবিখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পীকে কলকাতায় আনতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে বাংলার বহু পুরনো বডি অয়েল প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘জ্যাক অলিভল’ গ্রুপ। দীর্ঘদিনের এই পরিকল্পনা কী ভাবে বাস্তবায়িত হল, জানালেন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজর্ষি দাস।
রাজর্ষির কথায়, “জীবনের প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গে ব্রায়ান অ্যাডাম্সের গান ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই পরিকল্পনাটা তাই একেবারেই এক দিনের নয়। পড়াশোনার সূত্রে প্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হত। তখনই বন্ধুদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে আলোচনা হত, বাংলাকে সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু বলা হলেও এখানে আন্তর্জাতিক স্তরের অনুষ্ঠান প্রায় হয় না বললেই চলে। এ ছাড়া সবার পক্ষে সব সময়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখতে বাইরে যাওয়া সম্ভবও ছিল না। তখন থেকেই তাই একটা সুপ্ত ইচ্ছে বা পরিকল্পনা ছিল বাংলায় এমন একটা অনুষ্ঠান করার। প্রায় ১৪ বছর আগে কিঞ্জল ভট্টাচার্যের কাছ থেকে সেই প্রস্তাবও পাই। কিন্তু এই ধরনের আন্তর্জাতিক স্তরের অনুষ্ঠান করতে হলে যা যা প্রয়োজন, তখন তার সব কিছু পুরোপুরি করার ক্ষমতা ছিল না। বাজেটের প্রসঙ্গ তো বাদই দিলাম। তবে প্রথমেই ব্রায়ান অ্যাডাম্সকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল না। অন্য এক জন আন্তর্জাতিক স্তরের শিল্পীর আসার কথা ছিল। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে উনি আসতে পারবেন না জানিয়েছিলেন। তার পরেই ব্রায়ানকে আনার সিদ্ধান্ত হয়।”
জ্যাক অলিভল গ্রুপের আর এক ম্যানেজিং ডিরেক্টর রীতেশ দাস বলেন, “বাবা এত দিন ধরে আমাদের এই ব্র্যান্ডকে খুব যত্নে লালনপালন করে জ্যাক অলিভল গ্রুপকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। সঙ্গে ছিল আমাদের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং প্রোডাক্টের গুণমান। বাবার ভাবনাচিন্তা অন্য রকম ছিল। আমরা তাঁর দেখানো পথেই হাঁটছি। কিন্তু তার মধ্যেও আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা করছি। যাতে এই জ্যাক অলিভল ব্র্যান্ড মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। এতদিন পর্যন্ত জ্যাক অলিভ অলিভল গ্রুপ শুধুমাত্র বডি অয়েল বানানোর ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু খুব শিগগিরই আমরা আরও অনেক কিছু নতুন প্রোডাক্ট ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চলেছি। যাতে শুধু শীতেই নয়, সারা বছর সমস্ত ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়াও দ্রুত সারা দেশেই আমাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ করার চেষ্টাও করছি আমরা।”
রাজর্ষি জানিয়েছেন, এই আন্তর্জাতিক স্তরের অনুষ্ঠানের নেপথ্যে আরও একটা বড় কারণ ছিল। তাঁর কথায়, “আজ এতগুলো বছর ধরে ক্রেতাদের জন্যে আমরা ‘জ্যাক অলিভল’ গ্রুপ বাংলার ঘরে ঘরে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করতে পেরেছি। ‘জ্যাক অলিভল’-এর গুণমানই আজ আমাদের এই স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। তাই বাংলার যে মায়েরা-বোনেরা আমাদের এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমরা এই আন্তর্জাতিক স্তরের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। এই অনুষ্ঠান তরুণ প্রজন্মের জন্য একটা মোটিভেশনও বলা যেতে পারে। তথাকথিত কেরিয়ারের বাইরে গিয়ে গান-নাচ নিয়েও যে এই জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব, এটা সকলের জানা উচিত।”
এখন শুধু প্রহর গুনছেন কলকাতাবাসী। এর আগেও পাঁচ বার ভারতে এসেছেন ব্রায়ান। গত নভেম্বরেই ৬৫ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। তাঁর পৃথিবী বিখ্যাত সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে ‘সামার অফ ৬৯’, ‘এভরিথিং আই ডু আই ডু ইট ফর ইউ’, ‘রান টু ইউ’-এর মতো গান। এ বারে ব্রায়ানের শোয়ের টিকিটের দাম শুরু হয়েছিল ১,৯৬৯ টাকা থেকে। তাঁর বিখ্যাত গান ‘সামার অফ ৬৯’-এর সঙ্গে মিলিয়েই এই দাম রাখা হয়। ‘জ্যাক অলিভল’ গ্রুপ-এর বিশেষ উদ্যোগে ব্রায়ানের সুরের জাদুতে গানপাগল এই শহর সাক্ষী থাকবে এক গায়ে কাঁটা দেওয়া এক অভিজ্ঞতার।
এই প্রতিবেদনটি ‘জ্যাক অলিভল’ গ্রুপের সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy