‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাজার বদলাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে চাকরির চাহিদাও। সেই মতো এখন শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সুনিপুণ দক্ষতা। উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক শিল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত কয়েক দশক ধরে পেশাদার কর্মী জোগান দিয়ে চলেছে ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস।’ ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’, জর্জ টেলিগ্রাফ গোষ্ঠীর শাখা সংস্থা।
কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ভিতকে শক্ত করতে ঠিক কী কী প্রয়োজন?
সম্প্রতি এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জর্জ গ্রুপ অফ কলেজের ট্রাস্টি এবং ডিরেক্টর শ্রীরঞ্জনী জোশি জানিয়েছেন, “জর্জ কলেজ প্রথম থেকেই বদলে যাওয়া চাকরির বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার ভিত্তিক প্রফেশনাল ডিগ্রি কোর্স করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। জর্জের সমস্ত কোর্সগুলিই ইউনিভার্সিটি দ্বারা স্বীকৃত।
শ্রীরঞ্জনী জোশি আরও বলেন, “ভবিষ্যতের জন্যে শিক্ষার্থীদের সঠিক ভাবে তৈরি করাই হল ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’-এর মূল উদ্দেশ্য। তবে শুধু ভবিষ্যতের ভিতকে শক্ত করাই নয়, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক শিক্ষার উন্নয়নের দিকেও প্রথম থেকেই আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি।”
‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’-এ কী কী কোর্স করানো হচ্ছে? এবং শিক্ষার্থীদের এই কোর্সগুলি করানোর মূল উদ্দেশ্য কী?
এই প্রসঙ্গে শ্রীরঞ্জনী জোশি বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হল শিক্ষার্থীদের সঠিক কেরিয়ার তৈরি করে দেওয়া। সেই ভাবনাচিন্তা নিয়েই প্রথমে শুরু করা হয় ‘বিসিএ’। তারপর চাকরিভিত্তিক কেরিয়ারের কথা মাথায় রেখে গ্র্যাজু়য়েশন কোর্সে শুরু হয় ‘ব্যাচেলর ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট’, ‘ট্রাভেল ট্যুরিজম’, ‘মিডিয়া সায়েন্স’, ‘অ্যানিমেশন এবং ভিএফএক্স’, ‘ব্যাচেলর ডিগ্রি অফ অপ্টোমেট্রি ইন ভিশন সাইন্স’, ‘মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজি’। পাশাপাশি মাস্টার্স ডিগ্রিতে রয়েছে ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’। এ ছাড়াও এখানে ‘ব্যাচেলর ইন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট’ পড়ানো হয়, যা পূর্ব ভারতে প্রথম শুরু করে এই ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস।’ এই কোর্সগুলি রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা মৌলনা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি দ্বারা স্বীকৃত।”
চাকরিক্ষেত্রে যাতে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু ভাবে টিকে থাকতে পারে, সেই দিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখে ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’। তাই এই কলেজে ভর্তির প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা রাখে জর্জ কলেজ। পাশাপাশি কোর্স শেষের পরে চাকরিক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাবে প্রবেশের আগে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ করে দেওয়া হয়। চাকরির বাজারের চাহিদা বুঝে ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’-এ কোর্সের সিলেবাস ঠিক করা হয়।
এ ছাড়াও ২০১২ সালে কোন্নগরে ‘জর্জ কলেজ অফ ল’ বিএএলএলবি কোর্স পড়ানোর জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৮ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুমোদিত হয়েছে তিন বছরের এলএলবি কোর্সটি।
শ্রীরঞ্জনী জোশি বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের তাদের কোর্সের বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’ বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করে থাকে। উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের কোর্সের বিষয়ে আরও বিশদে জানার সুযোগ করে দেওয়া।”
পেশাদারি শিক্ষায় জর্জ টেলিগ্রাফ গোষ্ঠীর ঐতিহ্য ১০০ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে এসেছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও তার উৎকর্ষ প্রমাণিত। দেশের বেকার সমস্যা মোকাবিলায় ১৯২০ সাল থেকেই জর্জ টেলিগ্রাফ শিক্ষার্থীদের শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বুঝে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সেই ধারা বজায় রেখে জর্জ গ্রুপ অফ কলেজের মোট পাঁচটি ক্যাম্পাসে রয়েছে অগণিত শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীদের জন্যে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা নিয়ে এসেছে ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস।’ তাই উচ্চমাধ্যমিকের পর চাকরির কেরিয়ার সুনিশ্চিত করতে আজই আসুন ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’-এ।
এই প্রতিবেদনটি ‘জর্জ গ্রুপ অফ কলেজেস’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy