আজ থেকে প্রায় 'বছর কুড়ি আগে' কিংবা তারও আগে মহিনের ঘোড়াগুলি-র এক গানের লিরিকে গৌতম চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন পৃথিবীটা নাকি ছোট হয়ে যাচ্ছে। বন্দি হয়ে পড়ছে স্যাটেলাইট টিভির ভিতরে আর হালফিলের স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাতেও ফিরে ফিরে আসে সেই একই লাইন— মানুষ বড় একলা, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও। সত্যিই কি বাস্তবের ছবিটা তাই? ব্যস্ত সময়ে মানুষ কি ভুলে গিয়েছে আত্মীয়কে? দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর লোকের কি সত্যিই অভাব? এই সমস্ত উত্তর পাওয়া যাবে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘কেয়ার অব চ্যাটার্জী’-র গল্পে।
এই প্রথম বার কোনও ডিজিটাল ফিল্মের প্ল্যাটফর্মে এক সঙ্গে দেখা যাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে। ছবির অন্যতম মূল চরিত্রে রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। ভাগ্যের ফেরে আপনজন যখন দূরে চলে যায়, তখন কখনও কখনও আমাদের সেই শূন্যতাই পূরণ করেন প্রতিবেশীরা, দূরের আত্মীয়রা। যারা অচিরেই হয়ে ওঠে নিজের পরিবার। মনে হয়, যেন কত জন্মের সম্পর্ক ছিল তাঁদের সঙ্গে। এতদিন কেন এভাবে দেখা হয় নি! এই রকমই এক ছকভাঙা সম্পর্কের পারিবারিক গল্প ফুটে উঠেছে এই ছবিতে। আর এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পীদের ছোঁয়ায় যা পেয়েছে অন্য মাত্রা।
লকডাউনের সময়ে এই ছবিটি সত্যিই প্রাসঙ্গিক। কেনই বা নয়! রোজকার ছুটে চলা জীবনের চাপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাড়ার রকের আড্ডা। গলির খেলা। ঘরের অন্দরে মুখ লুকানো নিউক্লিয়াস পরিবারের ছবিটাও বড্ড চেনা। চিরচেনা ব্যস্ততাকেই স্রেফ এক টানে ভোকাট্টা করে দিয়েছে এই লকডাউন। মানুষ ঘরবন্দি জীবন ছেড়ে ফিরে পেতে চাইছে যেন কয়েক যুগ ধরে না ছুঁতে পারা পুরনো আত্মীয়কে। আর এই সময়ে সুগম হোমস-এর এই বিশেষ নিবেদন, সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়াার মতো। গল্পে রুদ্রনীলের চরিত্র একজন প্রতিবন্ধীর, যা এই প্রথম। একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় রুদ্রনীলের তার পরিবারকে হারায়। হারিয়ে ফেলে চলাফেরার ক্ষমতাও। এই দুঃসময়ে একলা হয়ে পড়া অসহায় সেই ছেলেটির পাশে এসে দাঁড়ান সৌমিত্র এবং সাবিত্রী। সদ্য পরিবারহারা ছেলেটার জন্য তাঁরাই হয়ে ওঠেন নতুন পরিবার।
সত্যিই তো! মানুষের জীবনযাত্রা বদলালেও, এই ভালবাসা, এই এক সঙ্গে থাকার আনন্দ, প্রতিবেশীর সঙ্গে বিশেষ দিনে মেতে ওঠা, বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানো— এই সমস্তের কি আর কোনও বিকল্প হয়! বরং এই লকডাউন বুঝিয়ে দিয়ে গেল, কেন এই সমস্ত কিছু এতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুগম হোমস-এর উদ্যোগে তৈরি এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি সুগম হোমসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy