জামাইষষ্ঠীতে টলিপাড়ার তারকা জুটিরা
মহা সমারোহে পালিত হল বাঙালির তেরো পার্বণের এক পার্বণ জামাইষষ্ঠী। ঐতিহ্য ও রীতিনীতি মেনে বছরের পর বছর ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। এই দিনে শাশুড়িরা মেয়ে-জামাইয়ের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য মা ষষ্ঠীর পুজো করেন। সময়ের সঙ্গে নিয়মের কিছু পরিবর্তন হলেও পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে জামাইদের পাত পেরে খাওয়ানোর প্রথা এখনও অটুট।
জামাইষষ্ঠীর এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে বেশ উচ্ছ্বসিত থাকেন টলিপাড়ার তারকারাও। উৎসব-আবহ অনুযায়ী তাঁরা আগে থেকেই সাজগোজ ও খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখেন। তার উপর যাঁদের বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী, তাঁদের উৎসাহ খানিকটা বেশিই থাকে। টলিপাড়ার অনেকেই এ বছর প্রথম জামাইষষ্ঠী কাটিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন এবং অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। বাদ পড়েননি নীল-তৃণাও। কেমন কাটল তাঁদের জামাইষষ্ঠী? অন্দরমহল ঘুরে দেখে খুঁটিনাটি খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন। রসনাতৃপ্তির এই বিশেষ উৎসবে আনন্দবাজারের সঙ্গী ছিল ‘ডক্টরস চয়েজ়’।
টলিপাড়ার বহুচর্চিত জুটি নবদম্পতি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। এ বছর ছিল তাদের প্রথম জামাইষষ্ঠী। প্রথম বছরের জামাইষষ্ঠী নিয়ে সকলের মধ্যেই একটা আলাদা উত্তেজনা থাকে। কাঞ্চন-শ্রীময়ীও ব্যতিক্রম ছিলেন না। ভাত থেকে শুরু করে পোলাও, চিংড়ি, মটন, চিকেন-- জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজে ছিল সবকিছুই। তবে শুধু জামাইষষ্ঠী বলেই নয়, কাঞ্চন জানান, তাঁর জন্মদিনেও শাশুড়ি এ ভাবেই পঞ্চব্যঞ্জনের আয়োজন করেন। জামাইষষ্ঠীর এই বিশেষ দিনে কাঞ্চন পরেছিলেন হলুদ রঙের পাঞ্জাবি। সাদা শাড়িতে শ্রীময়ী একটু অন্য রকম সাজে। তবে শুধু শাশুড়ির আদরযত্নেই নয়, মাসিশাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে মহা সমারোহে সস্ত্রীক জামাইষষ্ঠী পালন করলেন কাঞ্চন।
টলিপাড়ার সদ্য বিবাহিত মিষ্টি জুটি সন্দীপ্তা সেন ও সৌম্য মুখোপাধ্যায়। এ বছর তাঁদেরও প্রথম জামাইষষ্ঠী ছিল। তবে সন্দীপ্তার জামাইষষ্ঠীর শুরুটা ছিল বেশ অন্য রকম। কাজের ব্যস্ততার কারণে মধ্যাহ্নভোজে সৌম্য উপস্থিত থাকতে না পারায় মায়ের কাছে মেয়েষষ্ঠী দিয়েই শুরু হল সন্দীপ্তার উদযাপন। মায়ের আয়োজনে ভেটকি পাতুরি থেকে পোলাও-মাংস সব কিছু থাকলেও সন্দীপ্তা মাছের পদেই বেশি খুশি। সন্দীপ্তা জানিয়েছেন, “আমার মেয়েষষ্ঠী দেখে অন্য মা-বাবারাও নিশ্চয়ই এই উদ্যাপন শুরু করবেন।”
নবদম্পতি না হলেও সাবেক রীতি মেনেই জামাইষষ্ঠী পালন করলেন টলিপাড়ার হার্টথ্রব জুটি নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের পছন্দ অনুযায়ী মেনুতে ছিল পোলাও ও মটন। রান্না করেছিলেন তৃণার মা। সঙ্গে ছিল আরও অনেক রকমারি পদ। নীল জানিয়েছেন, জামাইষষ্ঠীর এই বিশেষ দিনে সব রকম খাবার খাওয়ার জন্যে তিনি এক সপ্তাহ শুধু ‘স্টু’ খেয়ে থাকেন। সারা বছর স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর থাকলেও জামাইষষ্ঠীর দিনে খাওয়া নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকে না বলেই জানিয়েছেন এই তারকা জুটি।
জামাইষষ্ঠীর এই বিশেষ দিনে তারকাদের অন্দরমহল ঘুরে দেখতে আনন্দবাজারের সঙ্গে বিশেষ সহযোগিতা করেছে ‘ডক্টরস চয়েজ়’।
এই প্রতিবেদনটি ‘ডক্টরস চয়েজ়’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy