ইমরান খান। — ফাইল চিত্র।
জুলফিকার আলি ভুট্টোর পরে কি এ বার ইমরান খান? পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কি এ বার ফাঁসিতে ঝোলানো হবে? ‘গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের’ মামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরানের মৃত্যুদণ্ডের সাজার জন্য মামলা হতে পারে বলে সোমবার সে দেশের সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
চলতি সপ্তাহেই ইমরান এবং তাঁর দলের নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলার শুনানি শুরু হবে আদালতে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে পাক আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজা হতে পারে বলে ইমরানের আইনজীবী উমায়ের নিয়াজি সোমবার জানিয়েছেন। ওএসএ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার আগামী জানুয়ারিতে পাক জাতীয় আইনসভার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ইমরান।
প্রসঙ্গত, গত অগস্টে তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের জেলের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তাঁর জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু ওএসএ-তে অভিযুক্ত হওয়ায় অটক জেল থেকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী মুক্তি পাননি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের গোড়ায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি ইসলামাবাদে পাঠান। অভিযোগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তাঁর তিন সহযোগী সেই নথি ফাঁস করেছিলেন।
যদিও এই ঘটনার নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে ইমরান শিবিরের অভিযোগ। ইমরানের আইনজীবী দলের তরফে নাঈম হায়দর পানজুথা এর আগে জানিয়েছিলেন, ইমরানকে তথ্য ফাঁসের মামলায় গ্রেফতারের কথা পুলিশ আগে জানায়নি। তিনি বলেন, ‘‘ইমরানকে যে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ গ্রেফতার করা হয়েছে, তা আমাদের জানানোই হয়নি। পাকিস্তানের ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা তাঁর আইনজীবীকে জানানো বাধ্যতামূলক। প্রসঙ্গত, সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কুর্সি দখলের পরে ১৯৭৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত পাক প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোকে একটি খুনের মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন জেনারেল জিয়াউল হক।