Legislative Assembly

অখিলেশ-বার্তায় ‘পিডিএ’, চর্চায় জোটের ভবিষ্যৎ

আগামী ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, কংগ্রেস তাদের ছ’টি আসন দেওয়ার কথা বলেও প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:২৬
An image of election

—প্রতীকী চিত্র।

মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটে আসনবণ্টন ঘিরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় বেসুরো হয়ে উঠেছেন সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেশ সিংহ। দিন তিনেক ধরেই কংগ্রেসের
বিরুদ্ধে নানা কটাক্ষ ধেয়ে আসছিল তাঁর তরফ থেকে। এ বার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে অখিলেশের স্লোগান, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে হতে চলেছে ‘পিডিএ-র বিপ্লব’। পিডিএ, অর্থাৎ পিছড়ে (অনগ্রসর), দলিত এবং অল্পসংখ্যক বা সংখ্যালঘু। বিজেপি বিরোধিতায় তৈরি হওয়া ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বদলে অখিলেশের বার্তায় ‘পিডিএ’ শব্দটি চোখ টানছে অনেকেরই। রাজনৈতিক জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আগামী ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, কংগ্রেস তাদের ছ’টি আসন দেওয়ার কথা বলেও প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছে। শেষ পর্যন্ত ১৮টি কেন্দ্রে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে অখিলেশ এক দলীয় কর্মীর পিছন থেকে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সমাজবাদী পার্টির পতাকার রঙ লাল আর সবুজে রাঙানো তাঁর পিঠ। তাতে সাদায় হিন্দিতে লেখা: ‘মিশন ২০২৪। নেতাজি (প্রয়াত মুলায়ম সিংহ যাদব) অমর রহে। এ বার অখিলেশ যাদবজির জয় নিশ্চিত করবে পিডিএ। অখিলেশ গরিবের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করবেন।’

কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার পরে বৃহস্পতিবার অখিলেশ তাদের বিরুদ্ধে অন্য বিরোধী দলগুলিকে বোকা বানানোর অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘‘রাজ্য স্তরে জোট হবে না জানলে আমাদের দেখা করারই দরকার ছিল না। কংগ্রেসের সঙ্গে কথাই বলতাম না।’’ জবাবে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ বলেন, ‘‘আরে ভাই অখিলেশ টখিলেখ ছাড়ো... প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, জোট ‘ইন্ডিয়া’ কেন্দ্রীয় স্তরে আর তার নজর লোকসভা ভোটেই।’’ শুক্রবার যার পাল্টা জবাব আসে অখিলেশের থেকে। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস এই রকম আচরণ করতে থাকলে কে আর ওদের পাশে দাঁড়াবে!’’

শনিবার অখিলেশ বার্তা দেন, কংগ্রেস সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ না করে জানিয়ে দিক যে, তারা জোট চায় নাকি চায় না। এই সূত্রেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এখন সবাই জানে, জনজাতি আর অনগ্রসর জাতির সমর্থন যতক্ষণ না মিলছে, সাফল্য আসবে না। কংগ্রেসও যে জাতভিত্তিক জনসমীক্ষা চাইছে সেটাই একটা আশ্চর্য ব্যাপার! ওরা এখন ভালই জানে, যে-ভোট দরকার, সেটা ওদের সঙ্গে আর নেই।’’

Advertisement
আরও পড়ুন