প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাঝখানে কিছুটা গা-ঝাড়া দিয়ে উঠলেও সার্বিক পতন রোখা যায়নি তাতে। আমেরিকার শেয়ার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে ‘জালিয়াতি’ করে নিজেদের সংস্থার শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছিল। ঠিক ন’মাস পরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারদরে বিপুল পতন ঘটেছে।
আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে, আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড। সোমবার কোম্পানিটির সিটি-গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের শেয়ার ২.৬ শতাংশ কমে ৫৭৫ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সংস্থার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩,৮৯১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান প্রায় ৮৫ শতাংশ। চলতি মাসে শেয়ারের পতন ঘটেছে প্রায় ছ’শতাংশ। ঘটনাচক্রে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টেও আদানির ৮৫ শেয়ার ধসের পূর্বাভাস ছিল।
প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নিজেদের সম্পত্তির প্রায় অর্ধেকেরও বেশি খুইয়ে ফেলেছে গৌতম আদানির মালিকাধীন আদানি গোষ্ঠী। যার পরিমাণ প্রায় ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সাম্প্রতিক কালে কোনও ভারতীয় সংস্থা এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যদিও সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্তর্বর্তী রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো, কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
গৌতম অবশ্য গোড়া থেকেই অভিযোগ করেছিলেন, বদনাম করার ‘দূরভিসন্ধি’ নিয়েই তাঁর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল শর্ট সেলার (স্বল্প মেয়াদে শেয়ার লেনদেনকারী) হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। উদ্দেশ্য ছিল, এর ধাক্কায় শেয়ার দরে পতনের সুযোগ নিয়ে মুনাফা কামানো। উল্লেখ্য, শর্ট সেলাররা আগে থেকে শেয়ার বিক্রি করে রাখে। নির্দিষ্ট দিনে বাজার থেকে কিনে সেই শেয়ার লগ্নিকারীদের হস্তান্তর করে। ফলে সেগুলির দর পড়লে সুবিধা হয় তাদের। আদানির ইঙ্গিত ছিল সেই দিকেই।