শশী তারুর এবং মহুয়া মৈত্র। — ফাইল চিত্র।
ডিনার টেবিলে পাশাপাশি বসে পানীয়ের গ্লাস নিয়ে তাঁদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে দিন কয়েক আগে। একটি পার্টিতে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ওই ছবি নিয়ে কটূক্তিও করেছেন অনেকে। কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর এ বার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত নিচু মানের রাজনীতি।’’
ডিনার টেবিলে পাশাপাশি বসে পানীয়ের গ্লাস নিয়ে তাঁদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে দিন কয়েক আগে। একটি পার্টিতে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ওই ছবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যও করেছেন অনেকে। কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর এ বার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত নিচু মানের রাজনীতি।’’
তারুর জানিয়েছেন, মহুয়ার জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা পাশাপাশি বসেছিলেন। আরও অন্তত ১৫ জন হাজির ছিলেন ওই পার্টিতে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে তথ্য বিকৃত করে ওই ছবি ‘গোপন বৈঠকে’ তোলা বলে দাবি করা হয়। মহুয়ার সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা মন্তব্য প্রসঙ্গে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ তারুর বলেন, ‘‘মহুয়া আমার থেকে অনেক বছরের ছোট। বাচ্চা না হলেও আমার কাছে ও বাচ্চারই মতো। সে দিনও বাচ্চারই জন্মদিন ছিল।’’
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দেড়েক আগে ওই পার্টির ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া জানিয়েছিলেন, বিজেপির আইটি সেল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ কাজ করছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘পার্টিতে সে দিন আরও অনেকে ছিলেন। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের ছবিগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে।’’ একটি ছবিতে সিগার হাতে দেখা গেলেও মহুয়া জানিয়েছিলেন, তিনি ধূমপান করেন না। কেবলমাত্র ছবি তোলানোর জন্য সিগারটি হাতে নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, নগদ অর্থ এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে আদানিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জড়িয়ে লোকসভায় মহুয়া প্রশ্ন তুলেছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ এনেছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিমানবন্দরে গুন্ডামি-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত নিশিকান্তের বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য এবং নথি পেশের অভিযোগ তুলেছিলেন মহুয়া।
অন্য দিকে নিশিকান্তের দাবি, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানি এবং মহুয়া মিলে গৌতম আদানি তথা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র’ করেছেন। এই মর্মে তিনি লোকসভার স্পিকার এবং লোকপালকে চিঠি লেখেন। দাবি করেন, কোথায় কবে, কত টাকা নিয়েছেন মহুয়া— সে সব প্রমাণও হাতে রয়েছে তাঁর। এমনকি, সেই ঘুষের অঙ্ক ২ কোটি টাকা বলেও দাবি করেছেন নিশিকান্ত। মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি।