ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
গভীর গর্তের ভিতর পড়ে গিয়েছে একটি শাবক হাতি। নিজে থেকে সেই গর্তের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার কোনও উপায় নেই হাতিটির কাছে। ও দিকে হাতিটির মা-সহ অন্য হাতিরা তখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে নদীর অন্য পারে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হল বনকর্মীদের। তাঁরা এসে উদ্ধার করলেন শাবক হাতিটিকে। গর্তের অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েই হাতিটি ছুটে গেল নদীর দিকে। বাচ্চাকে ছুটে আসতে দেখে মা হাতিও এগিয়ে এল। শুঁড় দুলিয়ে ধন্যবাদও জানাল তার সন্তানের উদ্ধারকর্তাদের। মন ভাল করা সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভিডিয়ো অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি মাঠের মাঝে থাকা গর্তের ভিতর পড়ে গিয়েছে একটি বাচ্চা হাতি। গর্তটি গভীর হওয়ায় হাতিটি কোনও ভাবেই নিজে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। আতঙ্কিত এবং নিরুপায় অবস্থায় সে গর্তের বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। অন্য দিকে শাবক হাতিটির মা এবং দলের অন্য হাতিরা তখনও সেই স্থানে এসে পৌছতে পারেনি। তারা নদীর অন্য পারেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। হয়তো কোনও ‘দূত’ এসে তার শাবককে বাঁচাবেন সেই ভেবেই অপেক্ষা করছে মা হাতিটি। সেই ঘটনাই ঘটল। গ্রামের লোকেরাই ‘দূত’ রূপে এগিয়ে এলেন। তাঁরা খবর দিলেন বনকর্মীদের। মাটি কাটার গাড়ি এনে মাটি কেটে কেটে সেই গর্তের মধ্যে ফেলা হল। সেই মাটির উপর ভর করে আস্তে আস্তে বাচ্চা হাতিটি উপরের দিকে উঠে আসতে লাগল। এ ভাবেই হাতিটি গর্তের ভিতর থেকে আবার খোলা মাঠে উঠে এল। মুক্ত প্রাঙ্গণে পা রেখেই হাতিটি নদীর দিকে দৌড় লাগাল। কারণ, ওই পারে তার মা রয়েছে। মা হাতি-সহ দলের অন্য হাতিরাও শাবকটিকে দেখে নদী ধরেই দৌড়ে আসতে লাগল। তার পর শাবককে নিজের কাছে পেয়ে মা হাতি নিজের শুঁড় উপরে তুলে তার বাচ্চার উদ্ধারকারীদের সেলাম জানাল। মানুষের ছোট্ট সাহাষ্যের প্রতি পশুমনের সেই কৃতজ্ঞতাবোধের ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
‘অ্যানিমালহিরোসওয়ার্ল্ড’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ভিডিয়োটিতে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পড়েছে। ভিডিয়োটিতে ইতিমধ্যে প্রায় আট লক্ষ নয় হাজার নেটাগরিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নেটাগরিকেরা নানা রকম মনোমুগ্ধকর মন্তব্য করে পোস্টটির মন্তব্যবাক্স ভরিয়ে তুলেছেন। নেটাগরিকদের একাংশ বনকর্মীদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন।