Northern Green Anaconda

শুটিংয়ে যাওয়া অভিযাত্রীদের হাতে ধরা পড়ল আমাজনের নতুন ‘রাজা’! মিলল বিশ্বের বৃহত্তম অ্যানাকোন্ডা

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাণীদের আবাসস্থল আমাজন। এর মধ্যে অন্যতম হল অ্যানাকোন্ডা। সেখানেই এ বার খোঁজ মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যানাকোন্ডার। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞানীরা আমাজন বৃষ্টি অরণ্যের কেন্দ্রস্থলে লুকিয়ে থাকা একটি বিশাল অ্যানাকোন্ডা খুঁজে পান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১২:১৭
০১ ১৪
anaconda

আমাজনের জঙ্গল। ৩০ লক্ষেরও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর ঠিকানা। সাড়ে তিনশোর অধিক পৃথক জনগোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি মানুষের বাসস্থান। সেই গহীন আমাজনের প্রাণীদের কথা উঠলে সকলের আগে একটি নামই মাথার মধ্যে নড়াচড়া শুরু করে। নামটা শুনলেই একটা অন্য রকম কৌতূহল তৈরি হয়। ভয়ও গ্রাস করে।

০২ ১৪
anaconda

অ্যানাকোন্ডা! জল-জঙ্গলের ত্রাস হিসাবে তাদের ‘সুখ্যাতি’ও কম নয়! আমাজনের এই দানবাকৃতির সাপটিকে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। হলিউড থেকে শুরু করে নানা দেশের চলচ্চিত্রেও তাকে নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছে। ঘন গভীর আমাজনের ‘মৃত্যুদূত’ হিসাবে পরিচিত অ্যানাকোন্ডা।

০৩ ১৪
anaconda

আড়েবহরে বিশাল হয় এরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের মধ্যে গণ্য করা হয় এই প্রজাতিকে। চেহারা ভয়ের উদ্রেক করলেও সাপের এই প্রজাতি কিন্তু একেবারেই নির্বিষ। শিকারকে শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে ভয়াবহ চাপ দিতে থাকে এরা। সেই চাপেই শিকারের হাড়গোড় ভেঙে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। তার পর শিকারকে আস্ত গিলে খায় সাপটি। শিকার ধরার কায়দাও রোমহর্ষক। এদের চলাফেরা প্রায় নিঃশব্দ। তড়িৎগতিতে জল কেটে শিকারকে ঘায়েল করতে ওস্তাদ আমাজনের রাজা।

Advertisement
০৪ ১৪
anaconda

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাণীদের আবাসস্থল আমাজন। এর মধ্যে অন্যতম হল অ্যানাকোন্ডা। সেখানেই এ বার খোঁজ মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় জীবিত অ্যানাকোন্ডার। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞানীরা আমাজন বৃষ্টি অরণ্যের কেন্দ্রস্থলে লুকিয়ে থাকা একটি বিশাল অ্যানাকোন্ডা খুঁজে পান।

০৫ ১৪
anaconda

এটি এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের বৃহত্তম জীবিত অ্যানাকোন্ডা। এর পোশাকি নাম ‘নর্দার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা’।

Advertisement
০৬ ১৪
anaconda

সাপটি এতই বিশাল যে, এটি আমাজনে পাওয়া সবচেয়ে বড় অ্যানাকোন্ডার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা এই বিশাল সাপটির দেখা মেলে ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানের শুটিংয়ের সময়। খ্যাতনামী হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথের ‘পোল টু পোল’ অনুষ্ঠানের শুটিং করার সময় বিজ্ঞানীদের নজরে পড়ে সাপটি।

০৭ ১৪
anaconda

ওয়াওরানি অঞ্চলে দলটি যে সাপটি খুঁজে পেয়েছে, সেটি একটি স্ত্রী অ্যানাকোন্ডা। লম্বায় এটি ৬.৩ মিটার বা ২০.৮ ফুট। সাপের মাথাটি মানুষের মাথার সমান বড়। ওজনে মানুষের থেকে তিন গুণ ভারী। দেহটি গাড়ির টায়ারের সমান প্রশস্ত। গবেষকেরা বিশ্বের বৃহত্তম সাপের নতুন প্রজাতিটির ল্যাটিন নাম রেখেছেন ‘ইউনেক্টেস আকাইমা’। এর অর্থ ‘উত্তরের সবুজ বড় সাপ’।

Advertisement
০৮ ১৪
anaconda

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আমাজনের জঙ্গলের ইকুয়েডরের অংশে ভ্রমণে গিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় এই সবুজ অ্যানাকোন্ডার সন্ধান পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাইয়ের নেতৃত্বে এই দলটি বাইহুয়েরি ওয়াওরানি অঞ্চলে অ্যানাকোন্ডার এই নতুন প্রজাতিটি আবিষ্কার করেন।

০৯ ১৪
anaconda

শ্বাপদসঙ্কুল এই অরণ্যে পদে পদে বিপদ। ইকুয়েডরে অবস্থিত আমাজনের এই অংশে খুব কমই অভিযাত্রীদের পা পড়ে। এই অভিযানে ব্রায়ানদের সঙ্গে ছিল স্থানীয় ওয়াওরানি শিকারিরা।

১০ ১৪
anaconda

এই অঞ্চলে চালানো ১০ দিনের অভিযানে শিকারি দলের সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞানীরাও। দলটি বাইহুয়েরি ওয়াওরানির বামেনো অঞ্চলে নদীর অগভীর অংশে কয়েকটি অ্যানাকোন্ডা দেখতে পান। দলটি তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটিকে ধরতেও সক্ষম হয়েছিল। সেই সাপগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা যায় সবচেয়ে লম্বা সাপটির দৈর্ঘ্য ২০ ফুটেরও বেশি।

১১ ১৪
anaconda

সাপের এই প্রজাতি আগে নথিভুক্ত ছিল না। এটি নাকি এই মুহূর্তে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সবচেয়ে বড় প্রজাতির সাপ। দক্ষিণাঞ্চলীয় সবুজ অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে নতুন আবিষ্কৃত এই উত্তরাঞ্চলীয় সবুজ অ্যানাকোন্ডার অনেকটাই মিল রয়েছে।

১২ ১৪
anaconda

সাপটি আবিষ্কারের পর দেখা গিয়েছে, গ্রিন অ্যানাকোন্ডার দু’টি ভাগ রয়েছে। আগে বিজ্ঞানীরা গ্রিন অ্যানাকোন্ডাকে একটিই প্রজাতি বলে মনে করতেন। পরে দেখা যায় ইকুয়েডরের আমাজন এলাকায় থাকা সবুজ অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে দক্ষিণ আমাজন অববাহিকার সবুজ অ্যানাকোন্ডার জিনগত তফাত রয়েছে। সেই ভিত্তিতেই এই বিভাজন করা হয়েছে।

১৩ ১৪
anaconda

দু’টি প্রজাতি দেখতে এতটাই এক যে, বিশেষজ্ঞেরাও তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। তবুও তাদের মধ্যে ৫.৫ শতাংশ জিনগত পার্থক্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। ওয়াওরানি সম্প্রদায়ের কাছে অন্যান্য অ্যানাকোন্ডা সম্পর্কেও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এদের দাবি, এই সাপ নাকি লম্বায় ৭.৫ মিটারেরও বেশি এবং ওজন প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম হয়। তবে এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।

১৪ ১৪
anaconda

ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজ়িয়ামের তথ্য অনুসারে, সবুজ অ্যানাকোন্ডা হল বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সাপ। এদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে ভারী সাপের ওজন ছিল ২২৭ কেজি (৫০০ পাউন্ড)। সেটি ছিল ৮.৪৩ মিটার লম্বা (২৭.৭ ফুট) এবং প্রস্থে ১.১১ মিটার (৩.৬ ফুট)।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি