শখের বারান্দাটি সাজিয়ে ফেলুন মনের মতো করে। ছবি: সংগৃহীত।
মনে পড়ে, ‘ভূমি’-র জনপ্রিয় সেই গান, ‘বারান্দায় রোদ্দুর’? শীতের মরসুমে রোদ ঝলমলে বারান্দার আরামকেদারায় পায়ে পা তুলে বসার আনন্দই আলাদা। সঙ্গে যদি থাকে পছন্দের বই আর গরম চা বা কফি, তা হলে তো কথাই নেই।
বহুতলে এমন একটি দক্ষিণমুখী বারান্দা থাকলে, শীতের দিনে সেখানেই যে কেউ সময় কাটাতে চাইবেন। শুধু দিন নয়, সান্ধ্য পার্টির জন্যও বেছে নিতে পারেন সেই স্থান। শুধু সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে হবে।
কী ভাবে সাজাবেন শখের বারান্দা?
আরামদায়ক বসার জায়গা: শীতের মিঠেকড়া রোদ উপভোগের জন্য আরামকেদারার বিকল্প হয় না। তবে ছোট্ট বারান্দায় আরামকেদারা রাখার জায়গা না হলে বেছে নিতে পারেন আরামদায়ক সোফা। নরম সোফায় গা এলিয়ে আলসে দুপুর কাটানোর মজাটাই আলাদা। সান্ধ্য পার্টির জন্য সোফার সঙ্গে মানানসই টেবিল রাখুন। একাধিক তাক রয়েছে বা নীচে জিনিসপত্র রাখা যায়, এমন নকশার টেবিল বেছে নিতে পারেন। খাওয়ার জন্য থালা, গ্লাস বা প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে সুবিধা হবে।
রাগ বা গালিচা: গালিচা বা রাগ (ছোট আকারের গালিচা) বারান্দার ভোল পাল্টে দিতে পারে। বাহারি গালিচা বারান্দার সৌন্দর্য নিমেষে বাড়িয়ে দেবে। তা ছাড়া, রোদ পড়ে গেলে শীতের দিনে মেঝে ঠান্ডা হয়ে যাবে দ্রুত। কার্পেট বা পছন্দের কোন রাগ রাখুন পায়ের কাছে। এতে বসাটা আরামদায়ক হবে।
গাছ: সবুজের ছোঁয়ায় বারান্দা হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। পাতাবাহারি গাছ, রকমারি ফুলের গাছ রাখতে পারেন সেখানে। বারান্দা থেকে জারবেরা, পিটুনিয়ার মতো ফুলের গাছ, সুদৃশ্য টবে চেন দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
আলো: দিনের বেলা না হলেও সান্ধ্য বা রাতের পার্টির জন্য মানানসই আলোর ব্যবস্থা রাখুন। জোরালো আলোর পাশাপাশি মৃদু বাহারি আলোও রাখতে পারেন। যখন যেটা প্রয়োজন, সেটা জ্বালিয়ে নিলেই হবে। সুদৃশ্য ঝাড়বাতি বা পোড়ামাটির লণ্ঠন ঝুলিয়ে দিলেও অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হবে।
কম্বল: শীতের দিনে খোলা বারান্দা পার্টির জন্য বেছে নিলে অবশ্য নরম এবং পাতলা কম্বল রাখতে পারেন। পার্টি না থাকলেও, সন্ধেবেলা যদি সেখানে বসতে ইচ্ছা হয়, চট করে কম্বলটি গায়ে দিয়ে নিতে পারবেন।