লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে পুড়ছে বাড়ি। গত কয়েক দিনের আগুনে পুড়ে গিয়েছে হাজার হাজার একর জমি। ছবি: রয়টার্স।
লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুনে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে এটিই হয়তো সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে আশঙ্কা করছেন ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গভিন নিউসম। এখনও পর্যন্ত পালিসেডেসের দিকে আট জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ১৬ জনের দেহ মিলেছে ইয়াটনের দিক থেকে।
এই অগ্নিকাণ্ডে পালিসেডেসের দিকে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার একর জমি পুড়ে গিয়েছে। ইয়াটনের দিকে পুড়েছে ১৪ হাজার একর জমি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েও যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে পালিসেডেসের দিকে ১১ শতাংশ অঞ্চলে এবং ইয়াটনের দিকে ১৫ শতাংশ অঞ্চলে এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। লস অ্যাঞ্জেলেস ছেড়ে অন্য কোনও আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে ১৩৫ বিলিয়ন ডলারের (সাড়ে ১৩ হাজার কোটি ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকা) ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘর পুড়ে গিয়েছে অ্যান্টনি হপকিন্স, প্যারিস হিলটনের মতো বহু হলিউড তারকারও।
হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। বেশ কিছু অঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও, পালিসেডেস, ইটন, কেনেথ, লিডিয়া, হার্স্ট এবং আর্চার অঞ্চলে আগুন এখনও জ্বলছে। রবিবার পালিসেডেসের আরও ১০০০ একরে নতুন করে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে। এই বিপর্যয়ের মাঝে প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলেছে লুটপাটের অভিযোগও। ক্যালিফর্নিয়ার দাবানলের সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ দমকলকর্মী সেজে বাড়িতে প্রবেশ করছেন বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত চুরির অভিযোগে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জন দমকলকর্মী সেজে বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।