কফি শুধু পানীয় নয়, খাওয়া যায় নানা ভাবে। ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সকালে এক কাপ ধূমায়িত কফি। অনেকেই বলবেন, এর চেয়ে ভাল পানীয় আর হয় না। কফির উপকারিতাও অনেক। দ্রুত শরীর-মাথা চনমনে করে তুলতে পারে এক কাপ কফি।
গরম অথবা ঠান্ডা পানীয় হিসাবেই কফি খাওয়ার চল বেশি। তবে চাইলে তা দিয়ে রকমারি পদের স্বাদ-গন্ধ বৃদ্ধি করা যায়। খাবারে যোগ করা যায় নতুন ‘টুইস্ট’।
বেকিং: কেক বানাবেন। মিশ্রণে ব্যবহারের জন্য কোকো পাউডার নেই হাতের কাছে। বদলে মিশিয়ে দিন কয়েক চামচ কফি। রং, স্বাদ, গন্ধ— তিনটি বদলে যাবে। চকোলেটের মতো স্বাদ না এলেও কফিপ্রেমী হলে, কেক মনে ধরবেই। শুধু কেক নয়, ব্রাউনিতেও ব্যবহার করা যায়।
সস্: আইসক্রিম কিংবা ব্রাউনিতে উষ্ণ, তরল চকোলেটের স্বাদ দারুণ লাগে। অনেকে এগুলিতে চকোলেট সস্ ছড়িয়ে খান। চাইলে কফিও সেই কাজটি করে দিতে পারে। একটি পাত্রে জল গরম হতে দিন, দিয়ে দিন কফি, অনেকটা চিনি বা মধু যোগ করুন। সমস্ত উপকরণ ঘন না হয়ে আসা পর্যন্ত হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। আইসক্রিম, ব্রাউনি এমনকি স্টেকের সঙ্গেও কফির সস্ খেতে ভাল লাগবে।
জলখাবারে কফি: না, উষ্ণ কফিতে চুমুক দিতে হবে না। বরং রকমারি পদে যোগ করতে পারেন কফি। প্যান কেক বা ওয়াফল তৈরির মিশ্রণে ১-২ টেবিল চামচ কফিগুঁড়ো মিশিয়ে দিন। তা হলেই খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বদলে যাবে। স্মুদিও তৈরি করতে পারেন কফি দিয়ে। দুধ, ওট্স, খেজুর, আখরোটের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১-২ চা-চামচ কফি। কফির স্বাদ এবং গন্ধ পছন্দ হলে, এই স্মুদি নিঃসন্দেহে পছন্দ হবে।