ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করা বেশি, তাই আলু খাওয়া বারণ! সাধারণ তরকারি, ঝোল থেকে না হয় আলু বাদ দিলেন। কিন্তু বিরিয়ানির আলু! জীবন থেকে তাকে বাদ দেবেন কী করে? বিরিয়ানির প্লেটে চালের তলায় লুকোনো নরম, তুলতুলে আলুটি অনেকের কাছেই আকর্ষণের মূল কারণ। মনের আনন্দে এক দিন বিরিয়ানির আলু খেয়ে রক্তে শর্করা বাড়িয়ে ফেলার ঝক্কিও তো কম নয়! তা হলে কী উপায়?
আলুতে কার্বোহাইড্রেট এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ বেশি। তাই ডায়াবিটিস ধরা পড়লে বেশি আলু খেতে বারণ করা হয়। কিন্তু গেরস্ত বাড়িতে নানা রকম পদের মধ্যে আলু ‘কমন’ একটি সব্জি। ডাল, ঝোল, তরকারি, চচ্চড়ি, সবেতেই আলু থাকে। তাই একেবারে আলু খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নন কেউই। তবে রাঁধার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে আলু খাওয়া যেতেই পারে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডায়াবিটিস থাকলে আলু খাওয়ার পরিমাণের উপর নজর দিতে হবে। যে পদ্ধতিতেই রান্না করা হোক, তা পরিমাণে যেন বেশি না হয়।
এ ছাড়া আলু সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে খাওয়া যেতে পারে। সেদ্ধ আলু ফ্রিজে রাখলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়। আলুর মধ্যে থাকা স্টার্চ অনেক সময়ে ফাইবারে রূপান্তরিত হয়ে যায়। অনেকে আবার ভিনিগারের দ্রবণে আলু ভিজিয়ে রাখেন। এই টোটকাতেও আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়। ভিনিগার দেওয়া স্যালাডের ড্রেসিংও এ ক্ষেত্রে বেশ কাজের। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিনিগারের মধ্যে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কার্বোহাইড্রেট শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আলু খাওয়ার আগে বেশ অনেকটা পরিমাণে সব্জি খেয়ে নিতে পারেন। আলু খাওয়ার আগে বেশ অনেকটা পরিমাণে ফাইবার খেয়ে নিলে কার্বোহাইড্রেট পরিপাকের গতি শ্লথ হয়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।