দিনে কত বার ফেসওয়াশ মাখা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকে। তার জেরেই মুখ সারা ক্ষণ চটচট করছে! যত বারই মুখে ফেসওয়াশ দেওয়া হোক না কেন, কিছু ক্ষণ পর যে কে সেই! যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়।
অনেকে মনে করেন, বাইরে না বেরোলে মুখে ফেসওয়াশ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, বাড়ির মধ্যে তো রাস্তাঘাটের মতো ধুলো-ময়লা থাকে না। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারলে ক্ষতি নেই। ঘুমোনোর সময়ে ত্বকের গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত তেল-সেবাম জমে থাকে মুখে। সকালে উঠে শুধু জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে কিন্তু সেই তেল সহজে পরিষ্কার হয় না। তা ছাড়া, বাইরে বেরোনোর আগে অনেকেই মুখে মেকআপ করেন। মেকআপ ভাল হওয়ার জন্যও মুখ পরিষ্কার হওয়া জরুরি। অন্য দিকে, ত্বক ভাল রাখতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ থেকে মেকআপ, ধুলো-বালির পরত পরিষ্কার করাও জরুরি।
ত্বক যেমনই হোক, তা পরিষ্কার রাখতে পারলে চট করে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা ভেবে প্রস্রাব করার মতো অনেকেই বার বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে ছোটেন। তাতে আবার উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, ফেসওয়াশের মধ্যে যে রাসায়নিক উপাদানগুলি রয়েছে, তা ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। কে কত বার মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির ত্বকের ধরনের উপর। যেমন— কারও ত্বক তৈলাক্ত হলে দিনে তিন থেকে চার বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়াই যায়। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা দু’বারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারেন। স্পর্শকাতর ত্বকের অধিকারী যাঁরা, তাঁরাও ঘন ঘন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।