ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকালে খুব একটা জল তেষ্টা পাচ্ছে না। কিন্তু জলপান কতটা কম হচ্ছে বা আদৌ কম হচ্ছে কি না, তা বুঝবেন কী করে? চিকিৎসকেরা বলেন, সাধারণত ঘুমের মধ্যে হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরলে বা প্রস্রাব করতে গিয়ে কোনও রকম অস্বস্তি হলে বোঝা যায়, শরীরে জলের অভাব ঘটছে।
এ ছাড়া আর কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়েছে?
মাথা যন্ত্রণা:
মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশন থেকেই শুরু হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কম হলেও অনেক সময়ে মাথা যন্ত্রণা করে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। তাতে গোটা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
হাত-পায়ে টান ধরা:
ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের মাংসপেশিগুলিতেও জল পৌঁছতে পারে না। তাই চট করে হাত-পায়ে টান ধরার আশঙ্কা থাকে। হাঁটতে গেলে বা দৌড়তে গেলে কিংবা ওঠা-বসার সময়ে কি প্রায়ই টান লাগছে? তা হলে কিন্তু জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
মুখে দুর্গন্ধ:
মুখের লালায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। কিন্তু শরীরে জল কম গেলে বেশি লালা তৈরি হয় না এবং মুখের ভিতর ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তা থেকেই মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
শুষ্ক ত্বক:
তার উপর যদি শরীরে জলের ঘাটতি হয়, তা হলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। তখন ত্বক শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হাতে চিমটি কেটে দেখুন। ত্বক কি অনেক ক্ষণ কুঁচকেই থাকছে? স্বাভাবিক হতে সময় নিচ্ছে? তা হলে আপনার আরও জল খাওয়া প্রয়োজন।
কোষ্ঠকাঠিন্য:
হিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পেটফাঁপার সমস্যাও দেখা দিতে পারে কম জল খেলে।