‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র পিছনেও রয়েছে ‘ভিএফেক্স জিনিয়াস’ নমিত।
অয়ন মুখোপাধ্যায়ের গত পাঁচ বছরের সাধনার ফসল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তি পেয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। যাঁরাই দেখেছেন, তাঁরাই বলছেন এ ছবিতে ভিএফএক্স-এর ব্যবহার আলাদা মাত্রা এনেছে। ছবি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ভিড়ে চিত্রনাট্য নিয়ে নিন্দায় মুখর হয়েছেন কঙ্গনা।
তবে ভিএফএক্স নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি। পুরাণ-ফ্যান্টাসিকে জীবন্ত করে তুলতে যে আলো আর ভেলকির খেলা বিশেষ ভাবে চোখে পড়েছে, সেটিই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর মূল আকর্ষণ। কে আছেন সেই শিল্পের নেপথ্যে? নাম তাঁর নমিত মলহোত্র।
বর্তমানে বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে নমিত ‘ভিএফএক্স জিনিয়াস’ নামে খ্যাত। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তির পর এক সাক্ষাৎকারে উঠে এল জিনিয়াসের অতীত। যেখানে মজার ছলে ভাগ্যান্বেষণের অধ্যায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। নমিতের কথায়, “আমার তখন ১৮ বছর বয়স। বড় কোনও কলেজে পড়িনি। ইঞ্জিনিয়ার নই, ছবিও বানাই না। কোনও পেশাগত অভিজ্ঞতাও ছিল না। যে ৪৫ জন মানুষকে আমরা প্রথম চাকরি দিয়েছিলাম, ঠিক তাঁদেরই মতো ছিলাম। এটা রীতিমতো লোক হাসাহাসির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ‘ওহ, তোমার কোনও অভিজ্ঞতা নেই? অমুক কোম্পানিতে যাও।’ আসলে আমরা নতুন প্রতিভাদের তুলে আনতে তৎপর ছিলাম। তাঁদের একেবারে মাটির তাল থেকে তৈরি করছিলাম। চাওয়ালা, পানওয়ালার ছেলেমেয়েরা আমাদের সঙ্গে থেকে ফিল্ম সম্পাদক এবং অ্যানিমেটর হয়ে উঠছিল। এ ভাবে আমরা অনেক পরিস্থিতি বদলে দিয়েছি।”
বর্তমানে ডিএনইজি-র চেয়ারম্যান এবং সিইও নমিত। তাঁর ভিএফএক্স কোম্পানি এ পর্যন্ত সাতটি অস্কার জিতেছে। জনপ্রিয় হলিউড ছবি ‘ইন্টারস্টেলার’, ‘ডিউন’, ‘টেনেট’ এবং ‘ইনসেপশন’-এর পিছনে রয়েছে নমিতের দলের কৃতিত্ব। নব্বইয়ের দশকে মুম্বইয়ের একটি ছোট গ্যারেজে যাত্রা শুরু হয়েছিল ডিএনইজি-র। প্রায় ২০ বছর পরে সে গ্যারেজ এক বিশাল কোম্পানিতে পরিণত হয়। যা চারটি মহাদেশের আট হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে।
আলিয়া ভট্ট এবং রণবীর কপূর অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ভিএফএক্সের পিছনেও রয়েছে নমিতের কোম্পানি। যা হয়তো অনেকেই জানতেন না।