ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলের বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকায় বৈষম্য। পুজোয় টানা প্রায় এক মাস ছুটি আর গ্রীষ্মকালীন ছুটি মাত্র ১০ দিন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক মহল।
কয়েক দিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বার্ষিক ছুটির তালিকা। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুজোর ছুটি একটানা না দিয়ে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দফায় চতুর্থী থেকে লক্ষী পূজোর ছুটি দেওয়া হয়েছে, আর দ্বিতীয় দফায় কালীপুজো থেকে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পর্যন্ত। আর উল্টো ছবি দেখা গেল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বার্ষিক ছুটির তালিকায়।
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “প্রাথমিকের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকায় বিস্তর বৈষম্য রয়েছে। পুজোয় টানা ছুটি, অথচ গ্রীষ্মকালীন ছুটি গরম পড়ার আগেই কেন। প্রত্যেক বছর গরম পড়ে ২০ মে থেকে। আর তখন স্কুল খুলে যাবে।”
২০২৪ সালের বার্ষিক ছুটির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়া হয়েছে ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত। আর পুজোর ছুটি দেওয়া হয়েছে ৭ অক্টোবর চতুর্থী থেকে ৪ নভেম্বর ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার পরের দিন পর্যন্ত টানা ২৫ দিন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “গ্রীষ্মের ছুটি যে সময় দেওয়া হয়েছে এবং যে সময়ে স্কুল খুলে যাচ্ছে, সেই সময়টায় মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ে প্রত্যেক বছর। এই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। পুজোর ছুটি কমিয়ে গ্রীষ্মের ছুটি বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে।”
শুধু মাত্র স্কুলের বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পাশাপাশি ২০২৪ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সামিটিভ পরীক্ষা কবে হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। প্রথম সামিটিভ মূল্যায়ন করা হবে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে। দ্বিতীয় সামিটিভ মূল্যায়ন করতে হবে স্কুলগুলিকে ১ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের পর্যন্ত মধ্যে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত তৃতীয় সামিটিভের মূল্যায়ন সম্পূর্ণ করতে হবে ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে।
আগামী বছর লোকসভা ভোট রয়েছে এপ্রিল মাসে, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে সারা দেশ জুড়ে। সেই সময় কেন সামিটিভ মূল্যায়ন তা নিয়েও দ্বিমত রয়েছে শিক্ষক মহলে।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “লোকসভা নির্বাচন রয়েছে আগামী বছর। সাধারণত নির্বাচন প্রক্রিয়া এপ্রিল মাসেই হয়। সেই দিকটি বিবেচনা করা উচিত ছিল পর্ষদের। তবে পর্ষদের তালিকা মেনে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”
এ ছাড়া মাধ্যমিকের টেস্ট নিতে হবে সমস্ত স্কুলগুলিকে ২১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। বিজ্ঞপ্তিতে সেরকমই উল্লেখ করা হয়েছে।